গ্রামিণ ব্যাংক ও বিএনপি-জামাত নেতার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি

আ’লীগের পলাতক নেতার অডিও ফাঁস      

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১৬:০২ |  আপডেট  : ১৭ মে ২০২৫, ১৯:২০

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন উপজেলা কৃষকলীগের পলাতক সভাপতি আশরাফুল আলম এমুর অডিও ফাঁস হয়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি সহ জনমনে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হয়। এঘটনার পর পুলিশ বিভাগ নড়েচড়ে বসে।এরপর রাতেই দেবীগঞ্জ থানার পুলিশ দেবীডুবা ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার আনন্দ রায় এর পূত্র  অনুপম রায়( ৩৯) ও সুন্দরদিঘী  শিবের হাট এলাকার ফজলার হকের পূত্র জাহাঙ্গীর আলম (৪২) কে আটক করে। অনুপম দেবীডুবা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাহাঙ্গীর আলম সুন্দরদিঘী ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি।

জানা যায় ২৬ মে শুক্ররবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) এটি ভাইরাল হয়ে পড়লে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।আশরাফুল আলম এমু ৫ আগষ্টের পর আতœগোপনে চলে যান। তিনি দেবীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) চেয়ারম্যান।তার ফাঁস হওয়া অডিওতে আশরাফুল আলম এমুকে বলতে শোনা যায়,  সত্যিকথা বলতে যে এটা বাস্তবতা এই ১৫ বছরে আমরা সাংগঠনিক  কাজেই করিনি  ।আমাদেরকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম আমাদের সাংগঠনিক কাজ একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছিল আওয়ামীলীগ ঐতিহ্যবাহি একটি দল। আমরা ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলি বক্তব্য দেই ‘আসলে ইতিহাস তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের কি করা উচিত আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা সবাই বক্তব্যে বলছি যে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বীরদর্পে আমরা বাংলাদেশে নিয়ে আসবো।তার জন্য আসলে আমরা কি করছি ‘আমি নিজে কি করছি। কতটুকু সাংগঠনিক কাজ করছি কতটুকু সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছি। আমরা কি পারিনা আমাদের প্রত্যেকটি উপজেলায় রুখে দাঁড়াতে। আমি নিজে যে উদ্যোগ নিচ্ছি আসলে দুঃখের কথা কি বলবো আমি চাচ্ছি যে সাংগঠনিক কাজগুলোকে এগিয়ে নিতে যেখানে দেখা যাচ্ছে উপজেলা নেতৃবৃন্দ আমাকে বাঁধা প্রদান করছে। কেনো বাঁধা প্রদান করছে যে এলাকায় কিছু নেতাকর্মী অবস্থান করছে। এখন সাংগঠনিক কোন..কাজ করতে গেলে কিছুদিন আগেও একটা কাজ করেছি আমি আমার ছেলে পেলে সহ সেখানে আমাদের নেতৃবৃন্দ দেখা গেলো আমাকে বাঁধা প্রদান করলো এবং চটে গেলো। এমনও কথা বলছে যে এই সাংগটনিক করার জন্য পুলিশি হয়রানি হচ্ছে। এটা হিংসাতœক মূলক সাংগঠনিক কাজ করা হয়েছে। লিফলেট বিতরণ আমরা করেছি। এলাকায় কোন নেতাকর্মী থাকতে পারে এজন্য মনে হয় লিফলেট বিতরণ করেছি। এখন আমাদের দলের নেতাকর্মীরা বলছে আমরাই পুলিশকে বলে তোমাদেরকে  বলে পুলিশে ধরায় দিবো। তোমরা যারা এ কাজ টা করছো। তাহলে ভাই তাহলে আমরা কি ভাবে আগাবো কি ভাবে কিভাবে সাংগঠনিক ভাবে কাজ করবো। আমি তো প্লানিং নিচ্ছি আমার এলাকায় যে কটা গ্রামিণ ব্যাংক আছে একরাতেই সবগুলো জালায় দিবো।এখন এই কাজ টা করবো আমরা উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সাহন না দেয় পাশে না থাকে   তাহলে তো কাজ গুলো করতে পারবোনা। আমি বিশ্বাস করি ৫৬০ টা উপজেলায় যদি আমরা এক সাথে রুখে দাঁড়াই প্রত্যেকটা বিএনপি-জামাতের নেতৃবৃন্দের বেশী না প্রথম সারির নেতার দশটা বাড়ি জালায় দেই ওরা এমনিতেই ভেঙ্গে পড়বে। কারন আমরা যদি রাস্তায়  নামতে না পারি পুলিশ প্রশাসন তো আমাদের পক্ষে আছে আমরা জানি আমাদের নেতারা  বলছে ‘আমরাও বুঝতেছি। আমরা যদি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারি রাস্তায় নামতে না পারি ‘তাহলে তো পুলিশ প্রশাসন তো আমাদের হেল্প করবে না । পুলিশ প্রশাসন তো যেমন আমার এলাকায় ইচ্ছে করে কারো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধরতেছেনা। যখন বিএনপি- জামাত চাপ দিচ্ছে তখন তারা যাচ্ছে ধরার জন্য। তার আগে ইচ্ছাকৃত তারা ধরছেনা। বাস্তবতা হলো আমরা এখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। আমরা ওই এমপি ইলেকশনে যে দ্বন্দ তৈরি হয়েছে ওই উপজেলা ইলেকশনে যে দ্বন্দ তৈরি হয়েছে গ্রুæপিং তৈরি হয়েছে  ইউনিয়ন পরিষদ  নির্বাচনে যে গ্রæপিং তৈরি হয়েছে। এগুলো ই আমরা সমাধান করতে পারি নাই। এখানে অনেক নেতাই এসে বক্তব্য দিচ্ছেন,অনেক এমপিরা এসে বক্তব্য দিচ্ছেন ‘ আমি সুযোগ পাচ্ছি না ওই এমপিদেরকে বলতে চাই যে আপনার এলাকায় যে আপনার বিরুদ্ধে আরো তিন-চারজন এমপি ক্যান্ডিটেড হয়েছে তাদের সাথে কি’ আপনি যোগযোগ করছেন‘ আপনার নিজ নিজ জায়গায় যে গ্রæপিং গুলো তৈরি হয়েছে ‘এই গ্রæপিং গুলো নিরসণে কি উদ্যোগ নিয়েছেন। যতক্ষন না এই গ্রæপিং গুলো মিটায় ফেলে ঐক্যবদ্ধ না হইতে পারবোনা ততক্ষণ ঘুরে দাড়াঁইতে পারবোনা। যতই আমরা  প্লাট ফর্মগুলোতে   এসে বড় বড় কথা বলিনা কেনো’। যা হোক আমার কথার মধ্যে কোন ভুলত্রæটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আমরা সকলেই বিপদে আছি ‘ আমাদের বৌ বাচ্চা আমাদের ফ্যামিলির সাথে দেখা করতে পারছিনা। আমাদের    সব কিছু ধ্বংস ,ব্যবসা-বানিজ্য সব কিছু ধ্বংস‘তারপরে ও আমাদের বোধোদয় হচ্ছেনা ,আসতেছেনা।  আমাদের বিবেক জাগ্রত হচ্ছেনা। যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হইতে হবে’ ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া আমাদের জাররা পরিমান রাস্তা নেই ‘ এটা ক্লিয়ার। এটা আমরা সবাই বুঝতেছি। দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায় , আশরাফুল আলম এমুর বিরুদ্ধে ৫ আগষ্টের আগে ও পরের দায়েরকৃত একাধিক মামলা রয়েছে। 

এব্যাপারে দেবীগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কবীর সরকার বলেন ‘পলাতক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে ‘ তাকে গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুইজনকে আজ কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত