আফগানিস্তানে তুর্কি উপস্থিতিকে ‘দখলদারিত্ব’ বিবেচনা করা হবে: তালেবান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২১, ১০:১৩ |  আপডেট  : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৪

তালেবানের কাতার দফতরের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা মোল্লা খয়েরুল্লাহ খয়েরখা বলেছেন, তারা আফগানিস্তানে তুর্কি সামরিক উপস্থিতিকে ‘দখলদারিত্’ বলে বিবেচনা করবেন।তিনি আরো বলেছেন, তুরস্ক মুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাদের সেনা উপস্থিতিকে দখলদারিত্ব মনে করা হবে।

খয়েরখা বলেন, “ন্যাটো জোটের আওতায় যে দেশের সেনাই থাকুক, যারাই কাবুল সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রাখবে তাদেরকেই দখলদার বিবেচনা করা হবে।”

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান গত সপ্তাহে বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে তার দেশ। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা রক্ষা করার লক্ষ্যে তুরস্ক এ দায়িত্ব নিয়েছে বলে জানান এরদোগান।

এদিকে মোল্লা খয়েরখা উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস) সম্পর্কে তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করে বলেন, দায়েশের হামলায় এ পর্যন্ত বহু তালেবান সদস্য নিহত হয়েছে। দায়েশের সঙ্গে তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গিগত বিস্তর ফারাক রয়েছে এবং এই গোষ্ঠী বিভ্রান্ত চিন্তাধারা লালন করে।

তালেবানের এই রাজনৈতিক নেতা আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কাতারে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনাকে চলে যেতে হবে। ন্যাটো জোটের আওতায় আফগানিস্তানে আসা সব বিদেশি সেনা এই চুক্তির আওতায় পড়বে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে মোল্লা খয়েরখা বলেন, সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করব।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত