আদমদীঘিতে ল্যাম্পি স্কিন গরু মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকার বিশেষজ্ঞ দলের পরিদর্শন
প্রকাশ: ৬ জুলাই ২০২৪, ১৭:৪০ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৪
বগুড়ার আদমদীঘিতে ক্ষুরা রোগ ও ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে ৩০ টি গরুর মৃত্যু ও প্রায় এক হাজারেরও অধিক গরু আক্রান্ত হওয়ায় বগুড়া জেলা প্রানীসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক দল পরিদর্শনের পর এবার ঢাকা থেকে প্রানীসম্পদ বিভাগের বিশেষজ্ঞ একটি দল আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করলেন। পরিদর্শন দলের প্রতিনিধিরা গরুর মালিকদের সাথে কথা বলে রোগের লক্ষন, কি ভাবে গরুর গুলোর মৃত্যু ঘটলো এসব বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি বেশ কিছু গরুর রক্ত পরীক্ষা করেন। গত শুক্রবার (৫জুলাই) দিন ব্যাপী বগুড়া জেলা ও আদমদীঘি উপজেলা প্রানীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা প্রানীসম্পদ বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল উপজেলার দমদমা গ্রাম সহ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেন। হঠাৎ করে গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আদমদীঘি উপজেলা দমদমা গ্রামে নজরুল, রবিউল, পিন্টু, ফেরদৌস, চাঁন মিয়া, নান্টু, মেজর, বগা মিয়া, রায়হান ও বাদল সহ কয়েক জন কৃষকের ২১টি গরু এবং উপজেলার আরো কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের সহ মোট ৩০টি গরু ক্ষুরা ও ল্যাম্প স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ক্ষুরা ও ল্যম্পী স্কিন রোগে অল্প সময়ের ব্যবধানে একই গ্রামে ২১টি সহ উপজেলায় ৩০টি গরুর মৃত্যুর হওয়ার সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক(প্রশাসন) মলয় কুমারের দাপ্তরিক চিঠি পেয়ে ওই অধিদপ্তরের অতিরিক্ত জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা ও ডা. মো, মহিবুল্লাহ সহ কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষনাগারে প্রতিনিধিবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত গরু মালিক ও এলাকা পরিদর্শন করেন।
শনিবার আদমদীঘি উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিরুল ইসলাম এর সাথে এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি বলেন,গরুর ক্ষুরা ও ল্যাম্পী স্কিন রোগ দেখা দেয়ার পর থেকে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে এ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন সহ মানুষের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি,উঠান ভেঠক ও মেডিকেল ক্যাম্প করে রোগ প্রতিকার সর্ম্পকে অবগত করা হচ্ছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত