আগামী নির্বাচনের জন্য পার্টিকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজন কঠিন ঐক্য: সেতুমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২১, ১৪:২৯ |  আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই, দুই বছর আছে। দলকে দ্বন্দ্ব কোন্দল মুক্ত করে সামনের নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দলের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে। পার্টিকে শক্তিশালী করতে হলে প্রয়োজন স্পাত কঠিন ঐক্য।

রোববার (২০ জুন) দুপুরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দলের শৃঙ্খলার ব্যাপারে শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থানে জানিয়ে কাদের বলেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা থেকে সম্মেলন করে নতুন কমিটি দিতে হবে। এরপর জেলা সম্মেলন করতে হবে। পকেট কমিটি করা যাবে না। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ চলছে। প্রয়োজনে ঘরোয়াভাবে সম্মেলন করে কমিটি দিতে হবে। নিজের অবস্থান শক্ত করার জন্য পকেট কমিটি করা যাবে না। কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ কোনঠাসা হয়ে যাবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, সাম্প্রদায়িক, মাদক ব্যবসায়ী এদের দলে ও কমিটিতে নেওয়া যাবে না। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। এসব ব্যাপারে শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
  
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে লুটপাট তন্ত্র চালু করেছিল বিএনপি। হাওয়া ভবনের নামে খাওয়া ভবন চালু করে লুটপাট তন্ত্র চালু করেছিল। কোনো দুর্নীতির বিচার হতো না। কোনো নেতা, কোনো কর্মীকে শাস্তির আওতায় আনা হতো না। এই ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু কন্যা জিরো টলারেন্স নিয়ে চলছেন। আমাদের দলের অনেকের সাজা হয়েছে, অনেকে জেলে আছে, দুদক তদন্ত করছে। বিএনপির সময় এটা ভাবাই যেতো না।  

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলগীর বলেন জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক বানানোর চেষ্ট হচ্ছে। বস্তুত পক্ষে আওয়ামী লীগ না, জিয়াউর রহামন তার কর্মেই ইতিহাসের খলনায়ক। ষড়যন্ত্রেও মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বেনিফিসিয়ারি জিয়াউর রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে বহুদলীয় তামাশার প্রচলন করেছিল বিএনপি। বিএনপি এদেশের জন্য কি করেছে যার জন্য জনগণ তাদের মনে রাখবে, আন্দোলনে সায় দিবে? বিএনপি মানুষের উন্নয়ন চায় না তারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে এটাই বিএনপির গাত্রদাহ। ১২ বছর আগের ঋণগ্রস্ত বাংলাদেশ আজ ঋণদাতা বাংলাদেশ। শ্রীলংকা ও সুদানকে আমরা ঋণ দিয়েছি। বিএনপি এসব দেখতে পায় না।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদেও সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য আব্দুল মান্নান খান, সাংগঠনিক সম্পাদ মির্জা আজম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত