অবিস্মরণীয় ফকির আলমগীর 

  মহিউদ্দিন খান মোহন

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২২, ০৯:৫৯ |  আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১২

গতকাল ২৩ জুলাই ছিল বাংলাদেশের সংগীত জগতের উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২২ সালের এই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। সর্বনাশা করোনাভাইরাস আমাদের কাছ থেকে সএই মহান শিল্পীকে কেড়ে নিয়েছে। ৭১ বছর বয়সে তার এই চলে যাওয়া আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে সংগত কারণেই। কেননা, প্রচলিত সংগীত ধারার বিপরীতে গণসংগীত এবং পপ সংগীতের দ্বারা তিনি সৃষ্টি করেছিলেন এক নতুন দিগন্ত। রোমান্টিক গানের বাইরে জীবন-ঘনিষ্ঠ গান গেয়ে একজন শিল্পী মানুষের হৃদয় কীভাবে জয় করতে পারে, ফকির আলমগীর তার অনন্য উদাহরণ।

১৯৫০ সনের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা গ্রামে জন্ম নেওয়া শিশুটি একদিন দেশজোড়া নাম করবে, এটা হয়তো সেদিন কেউই ভাবেন নি। গ্রাম বাংলার আর দশটি সাধারণ বালকের মতোই কালামৃধার কাদা-পানি গায়ে মেখে বেড়ে উঠছিলেন ফকির আলমগীর। ১৯৬৬ সালে কালামৃধা গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সে সময় তিনি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য হয়ে বাম রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তীতে একই কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সাংবাদিকতায় মাস্টার্স করেন। বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে ছিল তাঁর সরব পদচারণা। দেশের প্রগতিশীল রাজনীতিকে অনুপ্রাণিত করতে তিনি গণসংগীত প্রসারের দিকে নজর দেন। তাঁর চিন্তাভাবনা ছিল সংগীতের মাধ্যমে নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলে তাদেরকে দাবি আদায়ের সংগ্রামে শামিল হতে প্রেরণা জোগানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থাতেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও পরে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী। স্বৈরশাসক আইয়ুব-বিরেধী ১৯৬৯-এর গণ আন্দোলেনে ফকির আলমগীরের গাওয়া গণসংগীত ছিল আন্দোলনরত ছাত্র-যুব সমাজের কাছে সঞ্জীবনী মন্ত্রের মতো। তাঁর গানে ফুটে উঠত এদেশের শোষিত-বি ত মানুষের কথা, শোষণ-ব নার বিরুদ্ধে দ্রোহের কথা। তাঁর গানে ছিল নিজেদের দাবি আদায় এবং পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার দৃপ্ত শপথের কথা। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ফকির আলমগীর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে একজন শব্দ সৈনিকের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৯ সালে সরকার তাঁকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করে। 

এই অমর কণ্ঠশিল্পী বাংলাদেশের সংগীত জগতে নতুন ধারার প্রচলন করেছেন। স্বাধীনতার পর আমাদের সংগীত চর্চায় নতুন সংযোজন ঘটে পপ সংগীতের। সে সময় পপ-সম্রাট আযম খান, ফকির আলমগীর, ফিরোজ সাঁই, ফেরদৌস ওয়াহিদ বাংলাদেশে নব প্রচলিত পপ গানকে জনপ্রিয় করে তালার জন্য আত্মনিবেদিত হন। পপগুরু আযম খানের ওরে সালেকা ওরের মালেকা, ফকির আলমগীরের ‘কামেলেরা কাম করিয়া কোথায় জানি লুকাইছে, দুই পাহাড়ের মাঝে মাওলায় মসজিদ বানাইছে, ফিরোহ সাঁইয়ের এক সেকেন্ডের নাই ভরসা বন্ধ হইব রং তামাশ’, ফেরদৌস ওয়াহিদের ‘এমন একটা মা দেনা’ গানগুলো শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরত। এ গানগুলো সে সময়ের সব তারকা পপশিল্পীরাই গাইতেন। এ পর্যায়ে ফকির আলমগীর পপ সংগীতের ধারায়  গণমানুষের কথা বলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি হেমাঙ্গ বিশ্বাস, কবিয়াল রমেশ শীল, রাধারমন দত্তসহ বিভিন্ন প্রথিতযশা শিল্পী গীতিকারদের গান নিজের কণ্ঠে তুলে নেন। পাশাপাশি নিজেও রচনা করেন অসংখ্য গণসংগীত। তাঁর সেসব গানে উঠে আসে এদেশের গরীব দুঃখী-বি ত শোষিত নির্যাতিত মানুষের জীবনের কথা। গণসংগীতের পাশাপাশি ফকির আলমগীর অনেক আধাত্মিক গানও গেয়েছেন।

গত শতাব্দীর আশির দশকে ফকির আলমগীরের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। তাঁর গান মানুষকে আন্দোলিত করে। সে সময় দেশে স্বৈারচার বিরোধী আন্দোলন চলছিল। ফকির আলমগীর সে আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। গানে গানে তিনি দেশবাসীকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে উজ্জীবিত করার প্রয়াস পান। গণমানুষের শিল্পী ফকির আলমগীর তাঁর গানে তুলে ধরেন নিপীড়িত, বি ত, সর্বহারা মানুষের কথা, তাদের ব নার কথা। তাঁর ‘সখিনা’ সিরিজের গান মানুষের মনে অভূতপূর্ব এক অনুভূতির জন্ম দেয়। এই সখিনা বাংলাদেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত, বি ত, প্রতারিত নারী সমাজের প্রতিচ্ছবি। এই সখিনাকে প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করে তিনি গ্রামের মোড়ল-মাতব্বর, মহাজন, আদম বেপারিদের শোষণ-নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছেন সুরের মাধ্যমে। ‘ও সখিনা গেছস কিনা ভুইল্লা আমারে/ আমি অহন রিশকা চালাই ঢাহার শহরে’ গানটি শুনলেই অভাবের তাড়নায় প্রিয়তমাকে গ্রামে ফেলে শহরে ছুটে আসা হতাশ, ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত কোনো এক যুবকের ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এই সখিনা একটি প্রতীক। কখনো সে শহরে রিকশা চালাতে চালাতে ক্লান্ত-ঘর্মাক্ত কোনো এক যুবকের প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা প্রেমিকা, কখনো আদম বেপারির দ্বারা প্রতারিত বাংলার কোনো এক সরল যুবতী। কখনো কারখানায় কাজ করা শ্রমজীবী নারী, আবার কখনো সে ফুটপাতের ইটভাঙা নারী-শ্রমিক। ‘মোর সখিনার কপালের টিপ মুইছা গেছ ঘামে, কইতে বুকটা জ্বইলা যায়, ভোরবেলা সে চইলা যায় ইট ভাঙনের কামে’ গানটিতে তিনি এদেশের দারিদ্র্য পীড়িত লাখ লাখ নারীর-শ্রমিকের করুণ ছবি এঁকেছেন। আবার ‘মিছা পাসপোর্ট বানাইলি, ভূয়া এনওসি দেখাইলি/ হোটেল চাকরির নামে রে তুই দুবাই পাঠাইলি’ গানটি যেন বাংলাদেশের প্রতারিত হাজার হাজার অসহায় নারীর করুণ আর্তনাদেরই প্রতিধ্বনি। ফকির আলমগীর তাঁর গানে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী লাখ লাখ যুবকের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন ‘রহমত’ চরিত্রের মাধ্যমে। গেয়েছেন-‘কাইন্দ না রহমতের মা, কানলে মূর্দ্দার আজাব হয়, এসো সবাই মিলে দেয়া করি রহমতে যেন বেহেশতে যায়’। তাঁর কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে এদেশের শোষিত-বি ত মেহনতি মানুষের প্রতিবাদের ভাষা। ‘মহান মে দিবসের গান ‘লাল সালাম লাল সালাম, রক্তে ধোয়া মে তোমায় সালাম’ কিংবা ‘নাম তাঁর ছিল জন হনরি, ছিল যেন জীবন্ত ইঞ্জিন’ গানে তিনি শোষিত শ্রমিক শ্রেণির কথাই ইথারে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ১৯৭৬ সালে ইন্তেকাল করেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। ফকির আলমগীর ছিলেন তাঁর ভাবশিষ্য। তাঁকে নিয় গান গাইলেন ফকির আরমগীর ‘আবদুল হামিদ খান ভাসানী সংগ্রামেরই একটি নাম, বাংলাদেশের সব মানুষের লও সালাম’ এবং ‘আবদুল হামিদ খান ভাসানী মওলানা মহান, জনগণের মনে জ্বলছে, জনগণের মনে জ্বলবে নামটি তোমার অনির্বাণ’ গানে মজলুম জননেতার প্রতি এদেশের কোটি কোটি মানুষের শ্রদ্ধা প্রতিধ্বনিত হয়েছে ফকির আলমগীরের কণ্ঠে।  তিনি গান গেয়েছেন দক্ষিণ অফ্রিকার বর্ণবাদ-বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে। তাঁর গাওয়া ‘কালো কালো মানুষের দেশে, ওই কালো মাটিতে, নেলসন ম্যান্ডেলা তুমি, অমর কবিদতার অন্তঃমিল, শুভ হোক তোমার জন্মদিন’ গানে শোষিত-বি ত মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রামী এক নিঃস্বাধর্থ নেতার প্রতি গভীল শ্রদ্ধা জানানো হয়েছ। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ঢাকায় এসেছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। ফকির আলমগীর তখন এ গানটি গেয়ে শুনিয়েছিলেন তাঁকে।

‘মায়ের এক ধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম’/ পাপোস বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না’ ফকির আলমগীরের একটি কালজয়ী গান। এ গান তাঁর সংগ্রহ করা। এ সম্পর্কে তিনি ২০১৮ সালে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘১৯৭৭ সালের ঘটনা। মাকে নিয়ে গাড়িতে ফরিদপুর যাচ্ছি। আরিচা ঘাটে আমাদের গাড়ি থামে। ফেরি পার হতে হবে। এই সময় এক অন্ধ বাউলের সঙ্গে দেখা। বাউলটি দেহতত্ত্বের গান গাইছিল। গানটি শুনেই আমি রেকর্ডার বের করি। আমার মা-ও মনোযোগ দিয়ে গানটি শুনছিলেন। বাড়ি যাওয়ার পথে গাড়িতে বসেই বারবার ভাবি গানটি কীভাবে গাইব। গানটি শুনে খুব আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। ঢাকায় ফিরে নিজের মতো করে গানটি তৈরি করি। পরে অজিত রায় গানটি নতুন করে রেকর্ড করান। তিনি বলেছেন, গানটি গাইতে গেলে মাকে খুব মনে পড়ে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৪ জুলাই, ২০২১)। বাস্তবিক ফকির আলমগীরের ‘মায়ের একধার দুধের দাম’ গানটি শুনলে মাকে মনে না পড়ে পারে না। গানটিতে সন্তান জন্ম দিতে মায়ের যে কষ্ট সহ্য করতে হয় সে কথার পাশাপাশি মায়ের প্রতি সন্তানের ভক্তি (কর্তব্য) রাখার কথাও বলা হয়েছে।

আশির দশক আমরা যখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করছি, তখন ফকির আলমগীর ছিলেন আমাদের প্রেরণার উৎস। তাঁর সাহস জাগানিয়া গান আমাদেরকে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করত। বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি ম , ইঞ্জিনিয়ার্স ইস্টিটিউশন অডিটোরিয়াম কিংবা মহিলা সমিতি ম , যেখানেই তাঁর গানের অনুষ্ঠান হতো আমরা ভিড় জমাতাম সেখানে। তন্ময় হয়ে তাঁর গান শুনতাম, শিহরিত হতাম। রক্ত তখন টগবগ করে উঠত সব শোষণ-ব নার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য। প্রতি বাংলা নববর্ষে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন নারিকেল বীথি চত্বরে আয়োজন করত সংগীতানুষ্ঠানের; যেখানে মধ্যমনি থাকতেন ফকির আলমগীর। প্রথম বৈশাখের ঘাম ঝরানো তপ্ত রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে মানুষ মুগ্ধ হয়ে শুনত তাঁর গাওয়া জীবন-ঘনিষ্ঠ গান। অনুষ্ঠানে যেতে যেতে এক সময় তাঁর সাথে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য হয় আমার। সে সময় ফকির আলমগীরের ‘সখিনা’ এ্যালবামের ক্যাসেটের বিপুল কাটতি। একুশের বইমেলায় ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর স্টল থাকত। প্রায় প্রতিদিন সে স্টলে আসতেন ফকির আলমগীর। সেখানেই তাঁর ক্যাসেট কিনে অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে তাঁর সাথে আমার পরিচয়। তিনি ছিলেন মজলুম জননেতার শিষ্য। অমিও তাই। এ পরিচয় পাবার পর তার বিশেষ স্নেহ পাই আমি। যখনই দেখা হয়েছে, কেমন আছ মোহন- বলে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফকির আলমগীরের সাথে আমার শেষ দেখা ২০১৮ কি ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এসএ টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে। আপ্যায়ন টবিলে বসে অনেক কথা হয়েছিল তাঁর সাথে। ওইদিন সকালে চ্যানেল আইয়ের প্রভাতী গানের অনুষ্ঠানে ‘গানে গানে সকাল শুরু’তে গান গেয়েছিলেন ফকির আলমগীর। সেখানে তিনি ‘বাজে কী মধুর সুরে বাজে বাংলাদেশী বাঁশি’ গানটি গেয়েছিলেন। গানটি আমার খুব প্রিয়। ওই গানটিতে প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানকে তুলে ধরা হয়েছে। গানটির দুটি লাইনে সে কথা উদ্ভাসিত- ‘নতুন করে কাটা খালের তীরে, ওই বাঁশি কেঁদে ফিরে, জানিস কী রে সে কোন জনের তরে..”। প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর পরপরই গানটি লেখা। আমি ফকির আলমগীরকে সে প্রসঙ্গ তুলে বললাম, জানিনা, আপনি কেন আজকের দিনে এ গানটি গাইলেন। বললেন, আমি গায়ক। গানের মাধ্যমে দেশের কৃতি মানুষদের স্মরণে রাখতে চাই। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি। সেজন্যই আজ এ গানটি গেয়েছি। 

আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের কণ্ঠযোদ্ধা ফকির আলমগীর ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক, মানবপ্রেমিক। গানে গানে তিনি নিপীড়িত, নির্যাতিত,  শোষিত-বি ত মানুষের কথা বলে গেছেন। যতদিন এ পৃথিবী থাকবে, বাংলাদেশে ফকির আলমগীর অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন একজন গণশিল্পী হিসেবে। আজ এই মহান শিল্পীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

লেখকঃ সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত