"বাংলা বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস"

  শ্যামল কুমার রায়

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০৯:০৯ |  আপডেট  : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৮

স্বাগতম বাংলা নববর্ষ "১৪২৮ বঙ্গাব্দ!" বাঙ্গালি জাতির হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত বাংলা সংস্কৃতির সুবিশাল পরিমন্ডল থেকে আহরিত উপাদানগুলোকে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের পরিমার্জনের সমন্বয়ে বাংলা নববর্ষকে বাঙ্গালির জাতীয় উৎসব হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপনের মাধ্যমে জাতি যুগযুগ ধরে পালন করে আসছে। পৃথিবীব্যাপী মারণঘাতী এক মহা দুর্যোগের আতঙ্কে আমরাও আতঙ্কিত। প্রতিদিন কত জ্ঞানী গুণীজন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর কবলে হাড়িয়ে যাচ্ছে। তাই বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব বাংলা বর্ষবরণ এবারও  জাতীয় চারুকলা ইনষ্টিটিউশনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে না।  

ঐতিহাসিকগণের মতে বাংলাবর্ষ গণনা শুরু হয়েছিলো ষোড়শ শতকে সম্রাট আকবরের শাসনামল থাকে। সেই সময়ে রাজকার্য্য পরিচালনার জন্য প্রজাদের নিকট থেকে ফসলের একটা অংশ কর হিসেবে পরিশোধের জন্য ধার্য্য ছিলো। সম্রাট আকবর তার রাজজোতিষী ফতেউল্লাহ সিরাজীকে প্রজাদের কর পরিশোধের হিসাব রাখার জন্য একটি বর্ষপঞ্জি তৈরী করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখনকার দিনে জ্যোতিষীগণ দিনক্ষণ গণনা করতেন আকাশের নক্ষত্রকে অনুস্মরণ করে। ফতেউল্লাহ সিরাজী যখন বর্ষপঞ্জিকা প্রণয়নের দিনক্ষণ গণনা করছিলেন তখন আকাশ বিষখা নামক নক্ষত্র উদিয়মান ছিল। এই বিষখা নক্ষত্রের নাম অনুসারেই বাংলা বর্ষপঞ্জিকার প্রথম মাসের নাম বৈশাখ নির্ণয় করা হয়েছিলো।

তারও বহুপূর্বে অষ্টম শতকে রাজা গোপাল বাংলার শাসনভার গ্রহণের পর থেকে প্রায় পাঁচশত বছর বাংলায় পাল রাজাদের শাসনকাল বহাল ছিলো। নবম শতকে পাল রাজাদের রাজ্য বর্তমান পাকিস্তান, উত্তরপূর্ব ভারতের অংশ বিশেষ, নেপাল ও বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। রাজা গোপালের পরে ধর্মপাল ও দেবীপালের সময়কালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিখ্যাত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে সমগ্র বাংলায় বাংলাভাষা সাংস্কৃতিক কালচারের একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে উঠেছিলো। যার প্রভাব বিস্তৃতি ঘটেছিলো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার তিব্বত অঞ্চল পর্যন্ত। পরবর্তীকালে বখতিয়ার খিলজী ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের মাধ্যমে রাজ্য দখল করে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিলো। ঐতিহাসিক নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুড়িয়ে দেয়ার পরে বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতি ভান্ডারের যে ক্ষতি হয়েছিলো তা পরিপূর্ণ হতে পরবর্তীতে আরও পাঁচশত বছরের বেশী সময় লেগেছিলো। ভাষা সংস্কৃতির দিক থেক বাংলার ইতিহাসে পাল রাজাদের সময়কাল ছিলো এক স্বর্ণযুগ। 

পৃথিবীর প্রায় সব জাতিরই নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদের মৌলিক ভিত্তি রয়েছে। যেকোন জাতির বর্হিজগতে পরিচিতির মাধ্যম হচ্ছে তার ভাষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালি কৃষ্টি কালচারকে বিভিন্ন সময়ে বিদেশী শাসকগোষ্ঠী ধ্বংস করার জন্য অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেছে। বাংলা অঞ্চলের মানুষ সুদীর্ঘকাল বিদেশী শাসকদের অধীনে পরাধীন থাকার কারণে এখানে মিশ্র চিন্তাধারার মতবাদের অনুসারী কিছু মানুষ ধর্মকে ব্যবহার করে আমাদের চিরায়িত সাংস্কৃতিক ধারাকে দুর্বল করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিল এবং তারা এখনো সেই প্রকৃয়ার সাথে সক্রিয় রয়েছে।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতি ও বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতেই তথাকথিত অবাঙ্গালি পাঞ্জাবী শাসকদের ধর্মীয় সাংস্কৃতিক বেড়াজালকে ছিন্ন করে ৩০ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাকিস্তানি অবাঙ্গালি শাসকদের সীমাহীন জুলুম অত্যাচার ও হত্যাজজ্ঞের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়ালে ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সহায়তায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জনযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার (মুজিবনগর সরকার) তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে স্থির করে স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করেছিলেন। লক্ষ্যগুলো হচ্ছে ১। সাম্য ২। সমমর্যাদা ৩। সুশাসন ও ন্যায় বিচার। 

বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য অতিতের বিদেশী শাসকদের ন্যায় দেশীয় সামরিক শাসকরাও স্বাধীন রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সাম্য, সমমর্যাদা, সুশাসন ও ন্যায় বিচারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে পুনরায় পাঞ্জাবী ও পাঠানদের অনুকরণে ধর্মান্ধতার বিষবাস্পকে রাষ্ট্র ও  রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেগেছেন। তাদের অনুসারীরাই এখন পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধীতা করে ফতোয়া দিচ্ছে। বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। দেশের সকল ধর্মের আপামর জনগণ এই অনুষ্ঠানকে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। ষাটের দশকে আইয়ুব খান রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্র সঙ্গীতকে পূর্ব পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলো। সঙ্গীত হচ্ছে যে কোন জাতির জাতীয় সংস্কৃতির অন্যতম অলংকার। ধর্মান্ধগোষ্ঠীগুলো বাঙ্গালিসংস্কৃতি থেকে সেই অলংকারটি ফতোয়াবাজির মাধ্যমে ছুড়ে ফেলে দিতে চায়। যারা বাঙ্গালির জাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলে মনে রাখতে হবে তারা জাতির শত্রু, তারা বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের শত্রু, তারা বাংলা সংস্কৃতির চিহ্নিত দুশমন। এরা শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ও জাতীয় চেতনার ভিত্তিগুলোকে ধর্মের অপব্যখ্যার ধুয়া তুলে ধ্বংস করার এক হীন চক্রান্তে লিপ্ত। এই গোষ্ঠীকে তালিকাভুক্ত করে এদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ভাবে ব্যবস্থা নেয়া এখন সময়ের দাবি বলে মনে করি। রবীন্দ্রনাথ এ মাটির সন্তান তিনি আমাদের জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা। বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি আরও দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। তার বিরুদ্ধে কথা বলাতো রাষ্ট্রীয় সঙ্গীতকেই অবমাননা করা। রাষ্ট্রীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করা মানেই রাষ্ট্রের বিরোধীতা বা রাষ্ট্রদ্রোহের সামীল। 

নব্বইয়ের দশকে সৈরাচার এরশাদ যখন জাতির বুকের উপর জগদ্দল পাথরের ন্যায় জেকে বসে একের পর এক আমাদের জাতীয় কৃষ্টিকালচার গুলোকে ধ্বংস করে সব কিছুতে ইসলামাইজেশন করে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার থেকে সম্পূর্ণ  বিপরীত দিকে সরে গিয়ে সাম্য, সমমর্যাদা সুশাদন ও ন্যায় বিচারের অঙ্গিকারকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনকের হত্যাকারীদের রাজনীতিতে পূণর্বাসন করে পার্লামেন্ট সদস্য বানিয়ে পবিত্র পার্লামেন্টকে কলঙ্কিত করে মানুষের মুক্তচিন্তার শ্বাসনালীকে চেপে ধরেছিলেন। এদেশের দুর্জয় জনতা ১৯৮৯ সালে পহেলা বৈশাখ আমাদের ইতিহাসের আরেক কালেরস্বাক্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক, চারু ও কারুকলার শিক্ষার্থী, চিত্রশিল্পী, কলাকুশলী সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সম্মিলিতভাবে সৈরশাসকের অন্ধকারের থাবা থেকে দেশকে মুক্ত করে আলোয় উদ্ভাসিত করার দীপ্ত প্রত্যয় নিয়ে লাখো মানুষের পদচারনায় সেদিন মঙ্গল শোভাযাত্রা সূচনা হয়েছিলো। 

সেই থেকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। এটা হিন্দু বা মুসলমানের ধর্ম প্রচারণার বা ধর্মহীনতার কোন বিষয় নয়। এক শ্রেণীর মাওলানা সাহেবরা এটাকে ভুল ব্যখ্যা করে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন। ঐতিহাসিক এই মঙ্গল শোভাযাত্রার যিনি প্রধান উদ্দোক্তা ছিলেন তিনি হচ্ছেন যশোরের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মাহাবুব জামান। আমাদের মাওলানা সাহেবরা কেন বুঝতে পারেন না যে, ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে জাতি গঠিত হয় না। জাতি গঠিত হয় ভাষা সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে। জাতি হিসাবে আমরা বাঙ্গালি। আমাদের পরিচয় হওয়ার কথা আগে মানুষ তারপরে বাঙ্গালি তারপরে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ইত্যাদি। এই সহজ বিষয়টি যারা বুঝতে পারেন না তারাই ধর্মের নামে বিভ্রান্ত ছড়ায়। 

মঙ্গল শোভাযাত্রাকে আমি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জাগরণ হিসাবে দেখি। চীনের মহান নেতা মাওসেতুং সাস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে তার ক্ষুধার্থ বুভুক্ষ দেড়শ কোটি জনগণের দেশকে বিশ্ব অর্থনীতির এক শক্তিশালী দেশ হিসাবে গড়ে দিয়ে গেছেন। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব মঙ্গল শোভাযাত্রার সাংস্কৃতিক চেতনাকে রাজনৈতিক ভাবে লালন করে এদেশের সুস্থ ধারার বাঙ্গালি সংস্কৃতি থেকে সকল প্রকার জঞ্জাল চিরতরে অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে গোটা জাতিকে একমুখী জাতীয় চেতনার শিক্ষায় উজ্জীবিত করে মাওসেতুং এর মত শক্তিশালী জাতি গঠনের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।

সাম্য, সমমর্যাদা ও ন্যায় বিচারের স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বত্র এখনো সরষের মধ্যে অনেক ভুত লুকায়িত রয়েছে। সে কারনেই হয়তোবা সরকার এইসব ধর্মান্ধগোষ্ঠীর সাথে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছেন। নয়তো মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে যারা প্রতিহত করার ধৃষ্টতামূলক ঘোষণা দিতে পারেন তারা রাষ্ট্রদ্রোহীতার অপরাধে কেন অপরাধী হবেনা? সার্বজনীন অনুষ্ঠান কেন কঠোর নিরাপত্তার নিচ্ছিদ্র বেষ্টনীর মধ্যে পালন করতে হবে? সার্বজনীন অনুষ্ঠান উদযাপনে যারা বাধা দিতে চায় বা প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় তাদের সাথে সমঝোতা নয় কঠিন আইন প্রণয়ন করে আইনের প্রয়োগ সুনিশ্চিত করা দরকার। নাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা শুধু মুখে মুখে বললেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে না। 

স্বাধীনতার পরেও এই অপশক্তি বর্ণচোরা রুপ ধারণ করে সরকারে ও আওয়ামীলীগে মিশে গিয়েছিলো পরিণামে জাতি তার জনককে অসময়ে হারিয়েছে। সেই একই ধারা এখনো সরকারের অভ্যন্তরে ও রাজনৈতিক  দল আওয়ামীলীগে অব্যাহত রয়েছে, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ও মুক্তচিন্তার রাজনীতির জন্য ভয়াবহ দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে। ধর্মান্ধ সংগঠনগুলোতে স্বাধীনতা বিরোধী ও কট্টর আওয়ামীবিরোধী অসংখ্য লেবাসধারী গ্রুপ রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষ তারা সরকারের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গুনকীর্তনে সরব হয়ে উঠেন। এটা তাদের ঐকান্তিক মনোভাব পরিবর্তনের আভাষ নাকি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার কৌশল মাত্র সেটাও ভেবে দেখা দরকার। 

পৃথিবীর কোন দেশের রাষ্ট্রীয় উৎসবকে বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের উৎসব হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। বিচিত্র এই বাংলাদেশ। অনেক কষ্টার্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে এত অগাধ স্বাধীনতা অন্য কোন দেশে আছে কি না আমার জানা নাই। এখানে ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যৌন লিপ্সায় জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারতেও দ্বিধা করে না। ফলে স্বাধীনতার শত্রুরাও এখন মহা স্বাধীন। তাই এদের লাগাম টেনে ধরার চিন্তা রাষ্ট্রকে এখন থেকেই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে করতে হবে। নইলে এ জাতি আবার অন্ধকারের কালো থাবায় আক্রান্ত হবে।

দেশ এখন অনেকদুর এগিয়েছে, বিশাল উন্নয়ন কর্মজজ্ঞ চলমান রয়েছে। এ সবকিছু ম্লান হয়ে যেতে পারে ছোট্র একটি ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে। দলের যারা পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মী কেবল তারাই নেতৃত্বের সমালোচনা করতে পারেন। অপরদিকে সুবিধাবাদিরা কখনওই দলের বা নেতৃত্বের সমালোচনা করবে না। তারা সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাক্ষণ শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নালিশী তাঁবেদারিতে ব্যস্ত হয়ে দলের বিকশিত নেতৃত্বকে দুর্বল করে দেয়ার অপকৌশল খুজবে। আমাদের জেলা উপজেলা পর্যায়ের বেশীরভাগ নেতৃত্ব ও এমপি মহোদয়গণ ঐসব নালিশী নেতাকর্মীদের তাঁবেদারিতে অন্ধ হয়ে দীর্ঘদিনের অনেক ত্যাগী নেতা কর্মীদের নিস্কৃয় করে দূরে ঠেলে দিয়েছেন। এবারের করোনাকালীন দুর্যোগময় সময়ে বাংলা নববর্ষকে নবরুপে আলিঙ্গনের প্রতিজ্ঞা হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল মানুষের দলমতের ভিন্নতাকে উহ্য রেখে এক কাতারে অবস্থান গ্রহণের অঙ্গিকার। শুভ নববর্ষ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।


লেখকঃ শ্যামল কুমার রায় সাবেক ছাত্রনেতা ও রাজনীতি বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত