৫ বছর পর সাংবাদিক বিপুলের লাশ উত্তোলন
প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৪৪ | আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২৯
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৫ বছর পর নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলের লাশ উত্তোলন করে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টারদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে থানা পুলিশ নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামে নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ এনে তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আদালতের নির্দেশে মামলাটি গত ৯ সেপ্টেম্বর থানায় রেকর্ডভূক্ত হয়। এরপর আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাসের উপস্থিতিতে থানা পুলিশ তার লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার বর্ষণ গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম জুয়েল (৩৫), আব্দুল মান্নান (৩৮), নছির উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫৫), আব্দুল মজিদ (৫০), আব্দুল মজিদের ছেলে মানিক উদ্দিন (২৭), ইসমাইল হোসেনের ছেলে খোকন হোসেন (৪৫), কোলদিঘী গ্রামের আব্দুল জোব্বারের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৫) ও বরেন্দ্র পাকুরিয়াপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আবু সাঈদ (৩৫)। এ হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন থানার এসআই শাহ সুলতান। নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর এই হত্যার ঘটনাটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে প্রচার চালায়। আমরা হত্যা মামলার আসামিদের শাস্তি চাই।
থানার এসআই শাহ সুলতান জানিয়েছে, মামলাটি যথারীতিভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুল উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। সে দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সকালের আনন্দ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ছিলো।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত