৩-৪ গুন ভাড়া গুনে বাংলাবাজার ঘাটে পৌছাচ্ছেন যাত্রীরা
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২১, ১৫:১৬ | আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩
মাদারীপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন কঠোর হলেও মানানো যাচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। শহরে বেড়েছে ছোট যানবাহনের চাপ। মাদারীপুর-শরীয়তপুর আ লিক সড়ক ও মাদারীপুরের প্রধান সড়কে যাতায়াত করতে এসব যানবাহন। এছাড়া শহরের অন্যান্য সড়কগুলো বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে প্রশাসন। আজও অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন প্রবনতাই দেখা যাচ্ছে না তাদের মধ্যে। বাজারগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি লক্সঘন করা হচ্ছে।
ওদিকে কঠোর লকডাউনের ঘোষনায় রবিবার সকাল থেকে বাংলাবাজার- শিমুলীয়া রুটে দক্ষিনা লমুখী যাত্রী চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ আরো বৃদ্ধি পায়। দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মোটরসাইকেল, থ্রী হুইলার, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহনে ৩-৪ গুন ভাড়া দিয়ে শিমুলীয়া ঘাটে এসে ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দেন। বাংলাবাজার ঘাটে এসেও যাত্রীরা আবারও ভোগান্তিতে পড়েন।
দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশালে ৫ শ থেকে ৬ শ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫শ টাকা, খুলনা ৭ শ টাকা, মাদারীপুর ২শ টাকা,বাগেরহাট ৬শ৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই কয়েকগুন ভাড়া আদায় করা হয় যাত্রীদের কাছ থেকে।
আজও ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষনই দেখা যায়নি। এরুটে এদিন ১৬ টি ফেরি চালু থাকায় যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে পারাপারের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকে থাকতে দেখা যায়নি। আজ এরুটে ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে সাথে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। আজ এরুটে ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে।
মাদারীপুরে করোনা বাড়লেও হাসপাতালগুলোতে এখনও কোন চাপ তৈরি হয় নি। শনাক্ত হওয়া বেশীরভাগ করোনা রোগীই বাড়িতে বসেই নিচ্ছেন চিকিৎসা। তবে এখনই যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষে চলাচল বন্ধ করা না যায় তাহলে মাদারীপুর জেলায়ও করোনা রোগির ভয়াবহ রুপ নিতে পাড়ে। তখন হাসপাতালগুলোতেও সামলানো যাবেনা করোনা রোগির চাপ। মৃত্যুপুরিতে পরিণত হবে মাদারীপুর জেলা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত