২০৪ ইউপি, ২ পৌরসভা ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২১, ০৮:৪১ |  আপডেট  : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন, ২০৪ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ও দু’টি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (২১ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে মাঠে নিয়োজিত করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে শাস্তি নিশ্চিতে মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমরা।

গত ১১ এপ্রিল এসব নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনাজনিত দ্বৈব-দুর্বিপাক দেখিয়ে ৯০ দিন ভোট পিছিয়ে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। পরবর্তীতে সে সময় শেষ হয়ে আসায় ভোটের নতুন তারিখ দেয় ইসি। প্রথমে ৩৭১ ইউপি ও ১১ পৌর ভোটের তারিখ দিলেও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর ভোট স্থগিত করা হয়েছে। ফলে সোমবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে লক্ষ্মীপুর-২ আসন, ২০৪টি ইউপি ও দু’টি পৌরসভায়।

লক্ষ্মীপুর-২ আসন
স্বতন্ত্র থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল মানবপাচার ও অর্থপাচারের মামলায় কুয়েতের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।

এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দু’জন প্রার্থী। এদের একজন হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুর উদ্দীন চৌধুরী নয়ন। অন্যজন হলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মোহা. ফায়িজ উল্যাহ শপন।

নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন ৪ লাখ ২ হাজার ৯২৩ জন ভোটার। এদের মধ্যে নারী ১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৩জন। আর পুরুষ ২ লাখ ৪ হাজারর ৪৬০ জন। ১৩৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার।

২২ জন নির্বাহী ও ২ বিচারিক হাকিম ভোটের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। সাধারণ ও ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছে ১৭ থেকে ১৯ জনের ফোর্স।

এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের সমন্বয়ে ৩০টি টিম, র‌্যাবের ১০টি টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে নির্বাচনী এলাকায়।

ইউপি নির্বাচন
১৩ জেলার ৪১টি উপজেলার ২০৪ ইউপির মধ্যে ২০টিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ২৮টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৮৫৯ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ হাজার ১৫৪ জন। আর সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ হাজার ৯৬০ জন।

এসব নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মতর্তার দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা। মোট ১ হাজার ৮৩৬ ভোটকেন্দ্রের ১০ হাজার ২৬০টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর মোট ৪০ হাজার ৩৯২ জন সদস্য কেন্দ্রের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
এছাড়া ৩৯৩ জন নির্বাহী হাকিম, ৪১ জন বিচারিক হাকিম, ১২৩ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ১২৪ টিম ও পুলিশের ২৭৮টি টিম দায়িত্ব পালন করছে।

দুই পৌরসভা
ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি ও দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ পৌরসভাতেও ভোট হচ্ছে।

ঝালকাঠিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ লিয়াকত আলী তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. হাবিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন। ৩৯ হাজার ৬৩৬ জন ভোটার তাদের পৌরপিতা নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন।

এদিকে সেতাবগঞ্জ পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট পাঁচ প্রার্থী। এদের মধ্যে রযেছেন আওয়ামী লীগের মো. আসলাম, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মো. রশিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী-নাজমুন নাহার মুক্তি, মো. নাহিদ বাসার চৌধুরী ও মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।

এ নির্বাচনে ২১ হাজার ৩৫৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত