স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৪ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫৫

আজ ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ (রোববার) বিকাল ২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা, সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এমপিও নীতিমালার শর্ত সমূহ শিথিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবি জানানো হয়।

নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ নাজমুছ সাহাদাৎ আজাদীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মোঃ মনিমুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক পরিচালক ফকির নাসির উদ্দিন, নন এমপিও আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষনেতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী তালুকদার, নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সাজ্জাদ আহমেদ, অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক, অধ্যক্ষ জমির উদ্দিন চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান বাবুল, সুপার কাজী মোঃ মসিউর রহমান, প্রভাষক হোসনে আরা বেগম, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মামুন সিরাজুল কাদের প্রমুখ।

এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, পতিত আওয়ামী সরকারের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ২০২১ সালে বলেছিলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি বছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয়া হবে।” কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ৪ বছরে কোন আবেদন নেয়া হয়নি। বরং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিশেষ বিবেচনায় অনৈতিক ভাবে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। আবেদন না নেয়ায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ দীর্ঘ ২০—২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না।

তাঁরা বলেন, ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সর্বস্তরে বৈষম্য নিরসনে কাজ করছে। আমরা নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার। তাই নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের সামজিক মর্যাদা ও সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর সকল শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে আমাদেরকে এই দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দিন। আমরা নন এমপিও শিক্ষকরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ সরকারের সকল কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়ে এসেছি। আজকের অনুষ্ঠান থেকেও আমরা সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি জানাচ্ছি। পরিশেষে সরকারের নিকট মানবিক বিবেচনায় স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত