স্থায়ী রূপ পাচ্ছে দ্রুত বিচার আইন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৬ |  আপডেট  : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২০

আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে না বাড়িয়ে এটিকে স্থায়ী রূপ দেয়া হচ্ছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন-২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুত বিচার আইন করার পর এর মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরে কয়েক ধাপে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল এর মেয়াদ শেষ হবে।

তিনি বলেন, আইনটিকে স্থায়ী আইন হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখন থেকে আর এর মেয়াদ বাড়াতে হবে না।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০২ সালে যখন দ্রুত বিচার আইন প্রথম সংসদে পাস হয়, সে সময় এ আইনের মেয়াদ ছিলো দুই বছর। পরে কয়েকবার এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে এর মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। যা আগামী ৯ এপ্রিল শেষ হবে।

যখন দ্রুত বিচার আইন করা হয় তখন বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ এর সমালোচনা করেছিলো। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আওয়ামী লীগ সরকারও আইনটি রেখে দেয়।

আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিলো, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন।

এ আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনের মামলার বিচার চলে।

দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত