সিরাজদিখানে ব্যবসায়ীকে মারধরকরে ১০লাখ টাকা লুটের অভিযোগ

  লতা মন্ডল

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৪ |  আপডেট  : ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৩

মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখানের কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া আন্ডারপাস রাস্তায় এক ব্যবসায়ীকে মারধরকরে রক্তাক্ত জখম করে নগদ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার রুহুল আমিন,নিজাম ও কামাল ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে প্রথমে আব্দুল্লাপুর হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার রাতে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ী উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর গ্রামের মৃতঃ শেখ লাল মিয়া ছেলে মোঃ লোকমান শেখ (৫০)।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টায় উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেইট আন্ডারপাস রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও আহত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের চালতিপাড়া এলাকার সিদ্দিক শেখের ছেলে মোঃ শরীফ শেখ ও কুচিয়ামোড়া গ্রামের মোঃ সিরাজের ছেলে মোঃ জনির সাথে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিরোধ চলছিল।

গত ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সারে ৯টায় প্রাইভেট কার যোগে কুচিয়ামোড়া একতা এন্টাটারপ্রাইজের মালিক মোঃ আরিফের কাছ থেকে বালু ক্রয়ের পাওনা টাকা পরিশোধ করতে যাওয়ার সময় কলেজ গেইটের সামনে আন্ডারপাসের নীচে পূর্বে থেকে ওত পেতে থাকা মোঃ শরীফ ও তার লোকজন লোকমানের ওপর আক্রমন করেন। এতে প্রাইভেটকারের ভেতর ঢুকে শরীফের কাছে থাকা একটি লাঠি দিয়ে লোকমানকে এলোপাথারী মারধরকরে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তার সাথে থাকা নগদ ১০লাখ টাকা ও মানি ব্যাগে থাকা ২০/২২ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন কার্ড ও প্রযোজনীয় কাগজপত্র টাকা লুট করে তারা। পরে তার সাথের লোকজন ও পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

গুরুত্বর আহত লোকমান হোসেন বলেন,আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুলিকরা হয়েছে। আমি চালতিপাড়া এলাকার সিদ্দিক শেখের ছেলে মোঃ শরীফ শেখ ও কুচিয়ামোড়া গ্রামের মোঃ সিরাজের ছেলে মোঃ জনির সঠিক বিচার চাই। এবিষয়ে লোকমানের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন তারা মিয়া বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি অভিযোগ দেন। কেয়াইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ আলী জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে বিষয়টি আমি জেনে জানাচ্ছি।
                                          
এ বিষয়ে বিবাদী মোঃ শরীফ জানান, আমি তাকে মারধর ও টাকা লুট করিনি,আপনি এলাকায় এসে যাচাই করতে পারেন।সিরাজদিখান থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হক জানান, বিষয়টি অনুসন্ধান করা হচ্ছে,। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত