যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত

সান্তাহার জংশনে ৮ ঘন্টা আটকা পড়ে পঞ্চগড় ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন 

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২২, ১৫:০৭ |  আপডেট  : ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪১

শুক্রবার দিবাগত ভোর রাত সাড়ে চারটা দিকে সান্তাহার জংশনের তিলকপুর স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। ফলে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা রেলরুটে প্রায় আট ঘন্টা ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই দুর্ঘটনার পর থেকে সান্তাহার জংশন স্টেশনে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এ·প্রেস ভোর পৌনে পাঁচটা এবং পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন ভোর পাঁচটা থেকে সান্তাহার জংশন স্টেশনে এবং ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন ভোর পৌনে পাঁচটা থেকে আক্কেলপুর স্টেশনে আটকা পড়ে।

জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস প্রায় চার ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করছিল। ট্রেনটি ভোর সাড়ে চারটার দিকে সান্তাহার জংশনের তিলকপুর স্টেশন অতিক্রম করে আসার সময় ট্রেনের দুইটি বগী লাইনচ্যুত হয়। এর পর থেকে ওই রেলপথ রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, ঢাকাগামী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেন বিকল হবার ঘটনা ঘটছে অহরহ। সর্বশেষ শুক্রবার রাত পৌনে আটটায় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগীর চাকার এক্সেল গার্ড ভেঙে যায়। ফলে ট্রেনটি দুই ঘন্টা ধরে আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার জংশন স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে সান্তাহার জংশন স্টেশনের টিএ·আর বিভাগের লোকজন প্রায় দুই ঘন্টা ধরে মেরামত কাজ করার পর রাত পৌনে ১০টায় সান্তাহার থেকে ঢাকা অভিমুখে রওনা হয়। এদিকে তিলকপুর স্টেশনে লাইনচ্যুত একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুইটি বগী উদ্ধার ও লাইন মেরামত কাজ শেষ করার পর গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

অপর দিকে, দীর্ঘ প্রায় আট ঘন্টা ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনে থাকা হাজার হাজার যাত্রী, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক যাত্রীরা প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগে পড়ে। আন্তঃনগর ট্রেনের ছাদে হাজার হাজার যাত্রী বহন এবং অহরহ ট্রেন বিকল ও লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেনের চলাচল সিডিউল বিপর্যয়ের এঘটনার জন্য রেলওয়ে সংশ্লিস্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়ীত্ব পালনে অবহেলা ও উদাসিনতাকে দায়ী করেছেন সচেতন মহল ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত