সাংবাদিক সন্মেলনে কাউনিয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকের সাথে প্রতারণার অভিযোগ!
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১০:০৫ | আপডেট : ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:১৩
কাউনিয়ার টেপামধুপুর ভাঙ্গা মাল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সন্মেলনে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন টেপামধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার। বিভিন্ন দপ্তওর অভিযোগ করে কোন সুরাহা না হওয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।
কাউনিয়া গালস স্কুল মোড় রসিদ সুপার মার্কেটে গত বুধবার বিকালে সাংবাদিক সন্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে প্রতারণার শিকার সহকারী শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার আরো বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সব গ্রাম বা মৌজায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেখানে শর্ত সাপেক্ষ বিধি মোতাবেক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোতি প্রদান করে থাকে। সেই মোতাবেক কাউনিয়ার বালাপাড়া ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডে প্রাথমিক বিদ্যালয় বিহীন তালুক সাহাবাজ মৌজায় এলাকার কিছু বিদ্যানুরাগী ব্যক্তির প্রচেষ্ঠায় ২০০৮ সালে তালুক সাহাবাজ বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি (৩য় ধাপ) ৩৩ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়। জমি দাতা হিসেবে ওই মৌজার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মোঃ শাহিনুর আলম কে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। দেব প্রসাদ সরকার জানায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রী অনিমা রাণী কে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। আমি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে সে সময় ১লক্ষ টাকার অধিক ব্যায় করি। এছাড়াও বিদ্যালয়ের মঞ্জুরীর জন্য উপজেলা, জেলা শিক্ষা কমিটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আসার জন্য টেপামধুপুর ভাঙ্গামাল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম দায়িত্ব নেন।
তৎকালীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও চর গনাই হয়বৎখাঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিদুল ইসলামসহ উপজেলার বিশিষ্ট চার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে মোঃ তাজুল ইসলাম কে নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি এবং বিদ্যালয়টি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের তালিকা ভুক্ত হওয়ার পর আরো ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করব বলে সময় নেই। কিন্তু গত ২৬ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে জেলা শিক্ষা কমিটির যাচাই বাছাই কালে আমার স্ত্রী অনিমা রাণী সরকারের নাম বাদ দিয়ে অন্য একজনের নাম সংযোজন করে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ওই প্রধান শিক্ষক কে দিয়েছি। এ ব্যাপারে শালিস বৈঠকও হয়ছে।
উক্ত প্রধান কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় অনুমোদন করে দেওয়ার কথা বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ ওঠেছে। শিক্ষক দেব প্রসাদ সরকার জানায় তার দুটি কিডনি নষ্ঠ হওয়ার পথে মাসে আট-দশবার ড্যায়ালাইসিস করতে হয়। এতে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ভাল চিকিৎসার অভাবে সে যেকোন সময় মারা যেতে পারে। তাই সে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে টাকা গুলো উদ্ধারে আইনী সহায়তা কামনা করছেন। সাংবাদিক সন্মেলন উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা গোবিন্দ চন্দ্র দাস।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত