সর্বকালের আধুনিক গায়ক মান্না দে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১৪:১২ |  আপডেট  : ৬ মে ২০২৪, ২৩:৩১

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল সোনালী বিকেলগুলো সেই
আজ আর নেই।  

আশির দশক থেকে শুরু করে বর্তমেন পর্যন্ত বাংলার কর্মজীবী, সংসারী অথবা পড়াশোনা শেষ করেছে প্রায়ই ভার্সিটি বা কলেজের বন্ধুদের কথা সেই সময়ের কথা মনে করে থাকি। আর এই সময়গুলোর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই গানটি। কখনো নিজেই শুনে থাকি কখনো অন্য কোথাও শুনে নিজের মনের অজান্তে বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। এই নস্টালজিক গানের কন্ঠশিল্পী সবার প্রিয় মান্না দে [জন্ম: মে ১, ১৯১৯; মৃত্যু: ২৪ অক্টোবর, ২০১৩] আজকের এই দিনে প্রয়াত হয়েছেন। 

প্রবোধ চন্দ্র দে ডাক নাম মান্না দে ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সংগীত শিল্পী এবং সুরকারদের একজন। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ প্রায় ২৪টি ভাষায় তিনি ষাট বছরেরও অধিক সময় সংগীত চর্চা করেছিলেন। বৈচিত্র্যের বিচারে তাঁকেই ভারতীয় গানের ভুবনে সবর্কালের অন্যতম সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞ সংগীত বোদ্ধা। মান্না দে গায়ক হিসেবে ছিলেন আধুনিক বাংলা গানের জগতে সর্বস্তরের শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ও সফল সংগীত ব্যক্তিত্ব। এছাড়াও, হিন্দি এবং বাংলা সিনেমায় গায়ক হিসেবে অশেষ সুনাম অর্জন করেছেন। মোহাম্মদ রফি, কিশোর কুমার, মুকেশের মতো তিনিও ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দের দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সংগীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন।  

মান্না দে ২৪শে অক্টোবর ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুতে মৃত্যুবরণ করেন।

সংগীত ভুবনে তাঁর এই অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে পদ্মশ্রী, ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় অভিষিক্ত করে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণ প্রদান করে।      

আলিপুরদুয়ারে তাঁর গুণগ্রাহী দেবপ্রসাদ দাস নিজের বাড়িতে মান্না দে সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন। কলকাতায় ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে এই কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী তথা সুরকারের জন্ম শতবর্ষ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। কলকাতাতেই প্রায় একশো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উত্তর কলকাতায় তাঁর বাসস্থানের কাছে মর্মর মূর্তি স্থাপন করা হয়।            

বাসস্থানের কাছে মূর্তি স্থাপনা

                 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত