সরকারের নির্দেশেই ইভিএমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি, আগ্রহ নেই বিএনপির

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২, ২০:৩৭ |  আপডেট  : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৯

 আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নিয়েছে, সেটি সরকারের নির্দেশে হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে ইভিএম নিয়ে তাদের ভাবনা নেই জানিয়ে বলেছেন, তাদের মূল দাবি বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা।

নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর পরদিন বুধবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকে সামনে রেখে এই সভা হয়।

আগের দিন নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে পরদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইভিএম এবং ব্যালটের আসনগুলোতে ভোট এবং ফলাফলে কোনো পার্থক্য হয় কি না, সেটি তিনি বোঝাতে চান।

ভোটে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধী মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ইভিএম নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সরকার ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছিল। কমিশন সমঝোতার মাধ্যমে অর্ধেক আসনে সরকারের সঙ্গে রফা করেছে। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত, নির্বাচন কমিশন সরকারের হয়েই কাজ করছে।’

বিএনপি মহাসচিব এও বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই, মূল দাবি, সরকার পরিবর্তন না হলে কোনো কমিশনের অধীনেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সরকারের সঙ্গে ইসির রফা (সমঝোতা) হয়েছে, যার মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। ইভিএমে ভোটের মাধ্যমে ইসি সরকারের ইচ্ছার চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটাবে। এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। বিএনপিও এসব ইভিএম মানে না।

‘সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে। তবে তা হতে হবে ব্যালটে। তবে তার আগে সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’

জনগণের অধিকার হরণ করে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ জবরদখল করে সরকারে টিকে আছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘তারা কথা বলে এক রকম, কাজ করে অন্য রকম। প্রধানমন্ত্রী একদিকে বললেন, সভা-সমাবেশ করতে দেবেন। কিন্তু অন্যদিকে ভোলায় দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হলো।

‘ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য মতে খেলা হচ্ছে। কিন্তু সেটা মানুষের বাসায় আর বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর। সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানও উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত