সরকারি কর্মকর্তাদের ফখরুল, সরাসরি রাজনীতি করতে চাইলে উর্দি খুলে ফেলুন

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৯:২৮ |  আপডেট  : ১৫ মে ২০২৪, ২২:২৩

সরকারি কর্মকর্তাদের কেউ কেউ রাজনৈতিক কথাবার্তা বলছেন এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এমন একটা দেশ আমরা স্বাধীন করেছি যেখানে সরকারি কর্মকর্তারা এখন রাজনীতির কথা বলেন। সরাসরি রাজনীতি করতে চাইলে উর্দি খুলে ফেলুন। কী দরকার এসব বলার? কারণ আপনারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলেন। সুতরাং জনগণ তা মেনে নেবে না।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) প্রেসক্লাবে ‘সাংবাদিক শফিক রেহমান ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) আহ্বায়ক ‌আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজার’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার বৈধ কথা, ন্যায়ের কথা সহ্য করতে পারে না। যা ফ্যাসিস্টের লক্ষণ। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা দেওয়া হয়েছে, রায়ও ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাকে এক প্রকার নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের ওপর অজস্র অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। এ সরকার ভয়-ভীতি দেখিয়েই টিকে থাকতে চায়, এটাই তাদের অস্তিত্বের চাবিকাঠি।

তিনি বলেন, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমান গুণী মানুষ। তাদের লেখনির মধ্য দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করতেন। তাদের বিরুদ্ধে আজকে মিথ্যা, বেইজলেস মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্যাতনে অনেক সাংবাদিক আজকে দেশ ছেড়েছে। 

দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলার কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, কতজনের কথা বলব। আজকেও মহানগর দক্ষিণের এক নেতাকে নির্যাতন করার পর কারাগারে মারা গেছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে কুপিয়েছে। সে মারা গেছে। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে দুই বছর অন্ধকার কারাগারে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে।

ফখরুল বলেন, এ সরকারের সফলতা হলো তারা এ দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। শাসন বিভাগ কব্জা করেছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আমরা এখন অস্তিত্ব সংগ্রামের লড়াইয়ে নেমেছি। এক দফা দাবি সবখানে ছড়িয়ে দিতে হবে। তারেক জিয়ার ডাকে সাড়া দিতে হবে। এ সরকার ভেঙে দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট তৈরি করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সঞ্চালনা করেন বিএসপিপির সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত