হুয়াওয়ের টেলিকম ডিজিটাল পাওয়ার সামিট:
সবুজ প্রযুক্তির মাধ্যমে আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ
 গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট
  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট
                                    
                                    প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৪৫ | আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫
 
                                        
                                    সম্প্রতি, হুয়াওয়ে ডিজিটাল পাওয়ার’র আয়োজনে অনলাইন মাধ্যমে টেলিকম ডিজিটাল পাওয়ার সামিট এপিএসি ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সামিটে বিশ্বের ২৩টি দেশের ৬শ’ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ব্যবসায়িক নেতা ও এ খাতের বিশেষজ্ঞরা টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে কার্বন নিরপেক্ষতা বিষয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও ডেটা সেন্টারের সুবিধার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
হুয়াওয়ে ডিজিটাল পাওয়ারের ভিপি ও সিএমও ড. ফ্যাং লিয়ানঝো বলেন, ‘কার্বন নিরপেক্ষতার বিষয়ে বিশ্বের সবাই একমত এবং এজন্য সবাই একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, এটি সামনের ৩০-৪০ বছরে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি হবে, যা শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহারে বৈপ্লবিক পরিবর্তনই ঘটাবে না পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতি ও সমাজের পারিপার্শ্বিকত অবস্থা বিবেচনায় সকল শিল্পের উন্নয়নের সুযোগ এনে দিবে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের বিপরীতে কার্বন নিরপেক্ষতা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ লক্ষ্যে হুয়াওয়ে টেলিকম ডিজিটাল পাওয়ার সামিট এশিয়া প্যাসিফিক ২০২১ ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে কার্বন নিঃসরণ ও ব্যয় কমানোর জন্য মতবিনিময় সভার আয়োজন করে, যা অংশীদার ও গ্রাহকদের কার্যক্রম ডিজিটালাইজ করে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে।
২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী আইসিটি শিল্প ৫৭০ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ খরচ করেছে এবং ২০৩০ সালে এই সংখ্যা ১.৮৫ ট্রিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টায় পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর ডেটা সেন্টার এবং টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলো যথাক্রমে ১৬০ মিলিয়ন টন এবং ১৪৬ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী ছিল। তাই, এটা অনস্বীকার্য যে কার্বন নিরপেক্ষতার লক্ষ্যে পৌঁছাতে আইসিটি শিল্পকে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
সম্মেলনে গ্রিন টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক এবং ডেটা সেন্টার সুবিধা নির্মাণের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। বক্তারা তাদের অভিজ্ঞতা, পরামর্শ এবং সেরা চর্চাগুলো তুলে ধরেছেন৷ সারা বিশ্বের দর্শকরা টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক এবং ডেটা সেন্টার, বিশ্বের সর্বোত্তম অনুশীলন এবং নিত্য নতুন সুবিধা এবং আধুনিকীকরণের জন্য উদ্ভাবনী সমাধানগুলোর জন্য সবশেষ গ্রিন সবুজ এনার্জি’র সুবিধাগুলো দেখেছেন৷
সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিকের অন্যতম বৃহত্তম এবং সবচেয়ে উন্নত টেলিকমিউনিকেশন অপারেটর গ্লোব টেলিকমের সিএসও ইওলি ক্রিসান্টো ফাইজি স্থাপনা এবং সাইট ডিজিটালাইজেশনে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছন৷ গ্লোব জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যেমাত্রার ১৭ টির মধ্যে ১০টিতে অবদান রাখতে কাজ করছে। টেলিকম কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য নজির স্থাপন করেছে। তারা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৭ শতাংশ বা ০.৫৭ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এ নিয়ে হুয়াওয়ে ডিজিটাল পাওয়ার এর গ্লোবাল এসভিপি ও সিটিও সঞ্জয় কুমার সাইনানি বলেন, “হুয়াওয়ে হাই এফিশিয়েন্সি কনভারজড পাওয়ার ও কুলিং সিস্টেম, এমবেডেড আইওটি, এআই সক্ষম ওঅ্যান্ডএম প্রযুক্তির পথপ্রদর্শক, যা ডেটা সেন্টার লাইফ-সাইকেল কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে চীন থেকে আয়ারল্যান্ড পর্যন্ত ডেটা সেন্টারে সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।”
মূল বক্তব্যের পর, অংশগ্রহণকারীরা হুয়াওয়ে ডিজিটাল পাওয়ার ইনোভেশন এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের ভার্চুয়াল ট্যুরে অংশ নেন, যেখানে সর্বশেষ ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশনের পাশাপাশি ডংগুয়ান এবং হাংঝৌতে পরবর্তী প্রজন্মের ডেটা সেন্টার এবং টেলিকমিউনিকেশন সাইটগুলো সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়। 
 
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত
 
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
             
    
            