সংলাপে কোনো দল না এলেও সংকট হবে না: হানিফ
প্রকাশ: ৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:৫৭ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩
নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করছেন তাতে কোনো দল অংশ না নিলেও তাতে কোনো সংকট হবে না জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আহ্বান করেছেন। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা একক ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল। কারও সঙ্গে আলাপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই রাজনৈতিক দলের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে একটা ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সংলাপ আহ্বান করেছেন। সেই সংলাপে যদি কেউ অংশ না নেয়, সেটি তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেবে।
‘আমার বিশ্বাস সকলেই অংশ নেবে। এক্ষেত্রে দুই একটি দল যদি সংলাপে অংশ না নেয় তাও রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন কমিশন গঠন করতেই হবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে। এতে সংকট সৃষ্টি হবে না। হয়তো সকলের অংশগ্রহণ থাকলে যেটা সর্বজনীন হতো তা হয়তো কিছুটা ঘাটতি দেখা যেতে পারে। নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী।–বলেন হানিফ।
আগামী সংসদ অধিবেশনেই নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন সম্ভব বলে অনেক রাজনৈতিক দল মনে করেন। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী জানতে চাইলে হানিফ বলেন, যে আইন বিগত ৪০ বছরে হয়নি, সেই আইন হঠাৎ করে এক মাসের মধ্যে হয়ে যাবে? এটা যারা বলছেন তারা যৌক্তিক কথা বলেননি। যারা বলছেন তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে করেননি কেন? তারা তো অনেকবারই ছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২১ বছর ক্ষমতায়, বাকি ২৯ বছরই ছিল কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে করেনি কেন? আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন আইন করা হয়নি। অতীতে হয়তো কেউ উদ্যোগ নেয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইনটির কথা ভাবছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গেও কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। বলেন, আমরাও চাই বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রীই নন, সাধারণ মানুষ হিসেবেও অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরুক। তবে এটাও মনে রাখতে হবে আইন সবার জন্য সমান। কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য আইন হয়নি বা বাংলাদেশে সেই বিধানও নেই। আইন পরিবর্তনেরও সুযোগ নেই। তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য একটা পথ খোলা আছে; আইনের মাধ্যমে সেটা হচ্ছে তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। দণ্ড মওকুফ হলে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন।
সরকার ভীত হয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, এর আগে তো বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত ছিলেনই। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন চলছিল তাদের রায় যখন কার্যকর হয়েছিল তখন এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সেই সময় সারাদেশে জ্বালাও পোড়াও সহিংসতা করেছিল। সরকার সেই সমস্ত জ্বালাও পোড়াও মোকাবিলা করেই এই পর্যায়ে এসেছে। খালেদা জিয়া নতুন করে এমন কিছু হয়নি যার জন্য সরকারকে ভীত হতে হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সৈয়দ আশরাফের বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর, শাহজাদা মহিউদ্দিন, রাশেদুল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত