নেপালে ভূমিকম্পে হতাহত
শোক-সমবেদনা জানিয়ে শেখ হাসিনার চিঠি
প্রকাশ: ৫ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৬ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:২০
নেপালে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার (০৪ নভেম্বর) রাতে ওই চিঠিতে দুর্গত জনগণের জন্য প্রার্থনা করছে বাংলাদেশও বলে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছেন।
মার্কিন বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ১৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য উল্লেখ করে এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত (৩ নভেম্বর) সাড়ে ১১টার পর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে জাজারকোট এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
আর নেপালের জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ধাদিং জেলায়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূ-পৃষ্টের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পে দিল্লি এবং আশপাশের শহরগুলোতে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের আঘাতে নেপালের রুকুম জেলায় বহু বাড়ি ধসে পড়েছে। রুকুমের পশ্চিমে ৩৬ ও জাজারকোটে ৩৪ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করা হয়।
রুকুমের চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার হরি প্রসাদ পান্ত এএনআইকে বলেন, ভোর ৫টা পর্যন্ত রুকুমে ৩৬ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাজারকোটের জেলার সরকারি কর্মকর্তা সুরেশ কুমার সুনার জানিয়েছেন, রাতেই বহু মানুষকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ চালানো হচ্ছে তৎপরতার সঙ্গে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাতেই জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
তিব্বতীয় ও ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের ভাঁজে নেপালের অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল পোখারা ও কাঠমান্ডুর মধ্যে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৮ হাজার ৯৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। আহত হয়েছিলেন ২২ হাজার মানুষ।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত