শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন, দ্রব্যমূল্য অচিরেই কমবে: কাদের

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১২ |  আপডেট  : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২৭

দ্রব্যমূল্য অচিরেই কমে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর সবাইকে আস্থা রাখতে বলেছেন।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বেশি টাকা দিয়ে আমদানি করতে হয়, বিক্রি করতে হয় তার চেয়ে কম দামে। ধৈর্যহারা হবেন না। শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। দ্রব্যমূল্য কমে যাবে।  

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় বসে পুরো টিম নিয়ে নেমে গেছেন জনগণের সংকট লাঘব করতে। মন্ত্রিসভাকে নিয়ে কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  

তিনি আরও বলেন, তার মন্ত্রিসভার কেউ বসে নেই। সবাই কাজে লেগে গেছেন। এভাবে চললে আমরা অচিরেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। সামনে রমজান। মানুষের কষ্ট আমরা জানি। আমরা জনগণের সরকার।

ওবায়দুল কাদের জানান, চীন, রাশিয়া ও ভারত বন্ধু হলেও আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। জনগণের কল্যাণে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আগামী ৩০ জানুয়ারি লাল-সবুজের পতাকা হাতে সারাদেশে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ডাক দেন।

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গয়েশ্বর বাবু আজ পল্টনে হাজির হয়েছেন, কোথায় ছিলেন এতদিন। বলেছিলেন, আমরা অলিগলি খুঁজে পাব না। এখন গয়েশ্বর বাবু অলিগলি খুঁজে পাচ্ছেন না।

কাদের বলেন, দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আছে আরও পাঁচ বছর। কবে হবে আন্দোলন। রোজার পর না ঈদের পর। মানুষ বাঁচে আর কয় বছর। এই আন্দোলন মানুষ মানে না। হরতাল ডাকে, অবরোধ ডাকে মানুষ আসে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার। তারা কালো পতাকা মিছিল করে। কালো পতাকা মানে কী, শোকের মিছিল। কালো পতাকা ভুয়া। বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ, তারা আর তারেকের ফরমায়েশি কথায় কান দেয় না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, খেলা একটা হয়ে গেছে। নির্বাচনের খেলা শেষ। এখন খেলা হবে রাজনীতির। এখন খেলা হবে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।

সমাবেশে বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কালো পতাকা কাকে দেখাবে? তাদের উচিত ছিল, যারা ব্যর্থ কর্মসূচি দিয়েছে তাদের কালো পতাকা দেখিয়ে তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা। বিএনপিকে আগামী পাঁচ বছর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে। বোকারা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে, বোকার মতো হাসে। আমি মনে করি আগামী পাঁচ বছর বোকার মতো ফ্যালফ্যাল করে আপনাদের হাসতে হবে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য এমন কোনো হীন কাজ নেই তারা (বিএনপি) করেনি। সকল ষড়যন্ত্র, বিদেশি ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। আজকে আমাদের আন্দদের দিন, পঞ্চমবারের মতো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার সরকার এসেছে, এতে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছেন। বিএনপি কালো পতাকা কাকে দেখাতে চায়? জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের আন্দোলনে বিদেশিরা সাড়া দেয়নি। দেশের জনগণ তাদের কালো পতাকা দেখিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর নতুন ষড়যন্ত্র করতে চায়, ইঁদুর যেমন গর্ত থেকে মিটিমিটি তাকায়, বিএনপিও তেমনি মিটিমিটি তাকিয়ে গর্ত থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত