অধ্যক্ষ পরিবর্তনের উদ্যোগ ‘বাতিল’

শিক্ষকের গলায় জুতার মালা: অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২২, ১৯:৫৪ |  আপডেট  : ৬ মে ২০২৪, ১০:১৪

নড়াইলে পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দিয়ে অপদস্ত করার ঘটনায় অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এ ঘটনার ৯ দিনের মাথায় তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশি বলছে, অপদস্ত শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।

কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতিও বলছেন, স্বপন কুমার নিজে থেকে না চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে তাকে সরানো হবে না।

ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে কলেজের এক হিন্দু শিক্ষার্থীর পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন দিনভর বিক্ষোভ, সহিংসতা চলে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে। গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয় ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস।

এরপর পুলিশ পাহারায় বিকেল ৪টার দিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দাঁড় করিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় একদল ব্যক্তি। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।

মোবাইল ফোনে ধারণ করা এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পুলিশের সামনে শিক্ষকের এমন অপদস্ত হওয়ার ঘটনায় তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ।

ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে শিক্ষক স্বপন কুমারের গলায় জুতার মালা পরানোর সময় আশপাশে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেলেও তারা এখন দাবি করছে, এমন কোনো ঘটনা তাদের চোখে পড়েনি। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ওই ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি তারা। শিক্ষক হেনস্তা বা কলেজে সহিংসতার ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।

এরই মধ্যে কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরিবর্তনের তোড়জোড় শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আক্তার হোসেন টিংকু। আক্তার হোসেনের দাবি, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক তাকে দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব করেছেন।

শিক্ষক স্বপন কুমারকে নিয়ে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন নজরে এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানান, স্বপন কুমারকে তার চলতি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ এমন চেষ্টা করলেও মাউশি তাতে অনুমোদন দেবে না।

তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ হওয়ার আগে ম্যানেজিং কমিটি এ ধরনের কাজ করতে পারে না, আইনত সে সুযোগও নেই। তারপরও তারা (ম্যানেজিং কমিটি) যদি এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেটি কার্যকর করতে মাউশির অনুমোদন লাগবে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ ধরনের কাজ তারা করলে মাউশি থেকে অনুমোদন দেয়া হবে না।’

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সত্যিকার অর্থে সেখানে কী ঘটনা ঘটেছে তা জানা প্রয়োজন। সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ এসেছে। তবে সবশেষ কথা হলো, একজন শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।’

বিষয়টি নিয়ে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন উইং) অধ্যাপক মো. শাহেদুল কবির চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলেছে গণমাধ্যম।

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা কেন ঘটল তা নিশ্চয়ই তদন্তে বেরিয়ে আসবে। কোনো ব্যক্তি বিশেষ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তার বিচার হবে প্রচলিত আইনে। কিন্তু পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দেয়ার ঘটনা শিক্ষক সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। এটি অবশ্যই নিন্দনীয়।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। আমরাও মাউশি থেকে তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মু. ফজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অবশ্যই এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আইনত এ বিষয়ে বোর্ডের করণীয় কিছু নেই। তবে একজন শিক্ষক হিসেবে আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই।’

মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে সহিংসতা ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে হেনস্তার ঘটনায় ২৩ জুন জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করে। পুলিশের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটিতে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে আছেন নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম সাইদুর রহমান।

তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম সাইদুর রহমান সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা গতকাল (রোববার) তদন্তের কাজ শুরু করেছি। প্রথমেই আমরা ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বক্তব্য নিয়েছি। আজও এ ঘটনার তদন্ত করছি।’

অধ্যক্ষ পরিবর্তনের উদ্যোগ ‘বাতিল’
স্বপন কুমারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়ার কথা রোববার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন মির্জাপুর ইউনাইডেট ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন শিক্ষক।

তারা জানান, ঘটনার পরদিন ১৯ জুন নড়াইল-১ আসনের এমপি কবিরুল হক কলেজে এসে স্থানীয়দের সঙ্গে সভা করেন। সেখানে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার বিষয়টি আলোচিত হয়।

কলেজের প্রধান সহকারী খান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমপি কবিরুল হক সভা করে দোষীর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি পরিস্থিতি বিবেচনায় কলেজ বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছেন।

‘কলেজ খোলার পর পুনরায় সভা হবে। ওই সভায় হয়তো নতুন কোনো শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।’

কলেজের একজন শিক্ষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কলেজের পরিচালনা পরিষদের কমিটি নতুন কাউকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এলাকার মানুষ স্বপন কুমারকে এ দায়িত্বে দেখতে চাচ্ছে না। কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আক্তার হোসেন টিংকু হয়তো নতুন দায়িত্ব পাবেন।’

নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হতে এমপি ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের কয়েকজনের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার কথা রোববার গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আক্তার হোসেন টিংকু।

তবে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে একেবারে না করে দিয়েছি। আমি চাই যিনি দায়িত্বে আছেন তিনিই থাকুন।’

স্বপন কুমারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কলেজটি ঈদুল আজহা পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঈদের পর কলেজ রান করতে নতুন করে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। কে দায়িত্ব পাবেন সে ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

তবে এর এক দিন পরেই বদলে গেছে পরিস্থিতি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম সাইদুর রহমান সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার কোনো প্রক্রিয়া চলছে বলে আমার জানা নেই। কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অচীন কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে আজই আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আমাদের জানিয়েছেন এ রকম কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায়ভাবে তো একজনকে সরানো যায় না। সরিয়ে দিতে হলে এর জন্য যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ থাকতে হয়। ইচ্ছে করলাম আর সরিয়ে দিলাম, এটা চাইলেই কেউ করতে পারে না এবং পারবেও না।’

মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচীন চক্রবর্তীকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেছে নিউজবাংলা। তিনিও বলছেন, স্বপন কুমার নিজে থেকে না চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নতুন কাউকে তারা আনবেন না।

অচীন চক্রবর্তী বলেন, ‘এখন কলেজ বন্ধ আছে। ঈদের আগে বা পরে আমরা কলেজের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালনা পরিষদের সভা ডাকব। সেই সভায় অধ্যক্ষকে দায়িত্ব থেকে সরানোর কোনো প্রস্তাব উঠানো হবে না। মিটিংয়ের তারিখটা স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।

‘স্বপন কুমার বিশ্বাস যদি নিজ থেকে দায়িত্বে থাকতে না চান, তবেই কেবল মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি বিনা দোষে অপমানিত হয়েছেন। তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আরও অপমানিত করতে চাই না।’

পরিচালনা পরিষদের সদস্য না হলেও এমপি কবিরুল হককে কেন মিটিংয়ে রাখা হবে, জানতে চাইলে অচীন চক্রবর্তী বলেন, ‘কলেজের সর্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা তো জানেন। সেই জন্য তাকে রাখা হবে, যাতে স্থানীয়রা আবার উত্তপ্ত না হয়।’

বিজেপি নেতা নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া ছাত্রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে কলেজে সহিংসতা ও শিক্ষককে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত পুলিশের কোনো পদক্ষেপ নেই। তারা বলছে, কলেজ বা অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে মামলা না হওয়ার কারণেই বিষয়টিতে কোনো গতি নেই।

জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অধ্যক্ষ এখন চাইলে মামলা করতে পারেন। এ ছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইলেও মামলা করতে পারে। আমরা বারবার তা বলে আসছি, কিন্তু কেউ এখনও রাজি হয়নি।’

কলেজের পক্ষ থেকে মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই। আমি তাদের শাস্তি চাই। আর মামলার ব্যাপারটি নিয়ে মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে।’

স্বপন কুমারের নিরাপত্তাও বেড়েছে

ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাস। তিনি শনিবার গণমাধ্যমকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘১৮ জুন বিকেলে আমাকে থানায় নেয়া হয়। পরের দিন সন্ধ্যায় জানানো হয়, আমাকে বাড়িতে পাঠানো হবে। আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোথায় যেতে চাই। তখন আমি আমার কলেজের এক শিক্ষকের গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নিই। তখন নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সঙ্গে ছিল।

‘২৩ তারিখে তাদের বাড়ি থেকে নড়াইল সদরের একটি গ্রামে আমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছি। লোকলজ্জা ও হামলার ভয়- দুটিই কাজ করছে। তাই পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’

তবে সোমবার নিরাপত্তা নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে স্বস্তি প্রকাশ করেন স্বপন কুমার। তিনি বলেন, ‘আজকে (সোমবার) মনে হচ্ছে পুলিশ ভালো নিরাপত্তা দিচ্ছে। তবে আমি কোন বাড়িতে আছি সে ব্যাপারে কোনো তথ্য কাউকে শেয়ার করছি না। আমার নিরাপত্তার জন্য আমি কাউকে এটা বলছি না।’

স্বপন কুমারের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবীর সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার দিন থেকে ওই এলাকায় একটি ক্যাম্প খোলা হয়েছে। তারা এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কাজ করছেন।

‘অধ্যক্ষ যে বাড়িতে আছেন, সেই বাড়িতে পুলিশ বসিয়ে রাখা হয়নি। তবে তার আশপাশে নিয়মিত পুলিশ আছে, তিনি আমাদের নলেজে আছেন। এ ছাড়া ওই ছাত্রের (ফেসবুকে পোস্ট দেয়া ছাত্র) বাড়ির আশপাশেও পুলিশ আছে। তাদেরও সার্বিক নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত