শনিবার রাতে আরও ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১১:২০ |  আপডেট  : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৫

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির সব শর্ত মানছে না—এমন অভিযোগ তুলে কয়েক ঘণ্টা বিলম্বের পর গতকাল শনিবার রাতে আরও ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি এবং থাইল্যান্ডের ৪ জন।

আজ রোববার তাঁরা সবাই ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। আর ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, চুক্তির আওতায় দ্বিতীয় দফায় ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে তারা।

গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর আওতায় ধাপে ধাপে ৫০ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ১৫০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস।

তবে গতকাল হামাসের অভিযোগের মুখে দ্বিতীয় দফার বন্দী মুক্তির বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। হামাসের অভিযোগ, চুক্তিতে গাজার উত্তর অংশে ত্রাণবাহী ট্রাককে ঢুকতে দেওয়াসহ যেসব শর্তের কথা বলা আছে, তার সব কটি ইসরায়েল মানছে না। এ কারণে গতকাল জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি দিতেও বিলম্ব করে তারা।

তবে শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেডক্রসের কাছে জিম্মিদের হস্তান্তর করে হামাস। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, গতকাল যে ১৩ ইসরায়েলি মুক্তি পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬ নারী ও ৭টি শিশু-কিশোর।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ইসরায়েলের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে একত্র হবেন।’

ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলও দ্বিতীয় দফায় ৩৯ ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে। তাঁরা সবাই নারী এবং বয়স ১৯ বছরের কম।

আল–জাজিরা টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কিছু ফিলিস্তিনি একটি বাসের ভেতর উল্লাস করছেন। তাঁরা ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া শহরের দিকে যাচ্ছে। বাসটি রেডক্রসের বলে উল্লেখ করেছে আল–জাজিরা।

এ কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জানেন—এমন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে হওয়া চার দিনের ওই যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলো হামাস মেনে চলবে।

এর আগে শুক্রবার যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন ১৩ ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এ ছাড়া ১০ থাই নাগরিক এবং  ফিলিপাইনের এক নাগরিককেও সেদিন মুক্তি দেওয়া হয়। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে শুক্রবার ৩৯ নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়।

গতকাল হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, শুক্রবার ৩৪০টি ত্রাণবাহী ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৬৫টি ট্রাক গাজার উত্তরাঞ্চলে ঢুকতে পেরেছে। তাঁর দাবি, চুক্তি অনুযায়ী যতগুলো ত্রাণবাহী ট্রাককে ঢুকতে দেওয়ার ব্যাপারে ইসরায়েল সম্মত হয়েছিল, তার অর্ধেকেরও কম ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, গাজা উপত্যকার ভেতরে ত্রাণ বিতরণের কাজটি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তদারকি করছে।

জাতিসংঘ বলেছে, গতকাল গাজার উত্তরাঞ্চলে ৬১ ট্রাকভর্তি ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর এদিনই সর্বোচ্চ ত্রাণ সরবরাহ করা হয়। এসব ত্রাণের মধ্যে আছে, খাবার, পানি ও জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত