লৌহজং উপজেলা প্রশাসনের জাতীয় মৎস্য পদক অর্জন

  মিজানুর রহমান ঝিলু

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১০:১০ |  আপডেট  : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৯

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা প্রশাসন জাতীয় মৎস্য পদক-২০২৩ অর্জন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি  মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল আউয়াল, উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও মাওয়া নৌ পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমানের  হাতে এ পদক তুলে দেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
     
এ তথ্য নিশ্চিত করে ইউএনও আব্দুল আউয়াল জানান, পদ্মা নদীর লৌহজংয়ের ২৫ কিলোমিটার এলাকায় জাটকা ও ইলিশ রক্ষা অভিযান পরিচালনা, প্লাবন ভূমি ও খালের দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় চায়না দুয়ারিসহ নিষিদ্ধ জাল বাজেয়াপ্ত কর্মসূচি কর্মসূচি গ্রহণ করায় এ পদক অর্জন করে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি। 
     
ইউএনও আব্দুল আউয়াল  বলেন, ২০২২ সালের মৎস্য অভিযান আমাদের জন্য কষ্টকর হলেও এখন গৌরব বোধ করছি। আমরা ঝড়-বাদল উপেক্ষা করে দিন রাত পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের জাতীয় অর্থকরী সম্পদ ইলিশ রক্ষা করা। আমরা ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে এক শ্রেণির অসৎ ইলিশ ধরা জেলেদের আটক করেছি। তাদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিয়েছি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়মিত মামলা করেছি। তিনি আরও বলেন, 'আমরা আমাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পেরেছি। আমাদের অভিযানের ফলেই জেলেরা পদ্মায় অবৈধভাবে ইলিশ ধরতে পারেনি। আর পারেনি বলেই আজ আমরা নদীতে বড় বড় ইলিশ পাচ্ছি। শুধু ইলিশই নয়, আমরা চায়না চাই হিসেবে পরিচিত কারেন্ট জালের অতি সূক্ষ্ম ছিদ্রর চাইও জব্দ করেছি। 
     
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, ২০২২ সালে কম্বিং অপারেশেনর মাধ্যমে ৯টি অভিযান, ১৬টি মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় ৯ লাখ ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৩৭টি মশারী জাল, ১২টি চর ঘেরা জাল, ১৩৮টি চায়না চাই, ৪টি ভেসাল জাল, ৬০০টি বোতল চাই ও ২টি বাঁধ ধ্বংস করা হয়। এছাড়া মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ২১টি অভিযানে ৫৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ১২৩টি মামলায় ১২৩ জনকে জেল ও জরিমানা করা হয়। ১৪ লাখ ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জালসহ ২১১৯ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত