লৌহজংয়ে শতাধিক পরিবারের যাতায়তের রাস্তা রাতের আধারে কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

  শেখ সাইদুর রহমান টুটুল

প্রকাশ: ৫ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৬ |  আপডেট  : ১৮ মে ২০২৪, ১৪:৩৩

লৌহজং উপজেলার খিদির পাড়া ইউনিয়নের গ্রামের শতাধিক পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সড়কটি রাতের অন্ধকারে একই এলাকার বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্তরা কেটে পুকুরে মাটি ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । একই গ্রামের বাসিন্দা হাজী মো. সানাউল্লাহ, মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার, আব্দুর রহমান, মো. দুলাল শেখ জানান, মৃত সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার এম.এ সাদেক সাবাড়িটি এই বংখিরা গ্রামে অবস্থিত এই গ্রামে বড় বাড়ি নামে পরিচিত। তার পরিবারের সবাই প্রবাসে । তার ছেলে আলমগীর হোসেন কয়েক বছর পরপর প্রবাস থেকে দেশে এসে এলাকার ইন্নয়ন মুলক কাজ কর্ম যেমন, রাস্তা ঘাট, মসজিদ মাদরাসা ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড করে থাকেন । তারই ধারা বাহিকতায় বংখিরা জামে মসজিদের পাশ দিয়ে একটি পায়ে হাটার রাস্তা যা ভাঙ্গা, নিচু ও চলাচলের অনুপযোগি এই এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের বসবাস। রাস্তাটির অভাবে এই এলাকায় বসবাসকারী পরিবার গুলো খুবই অসুবিধার মধ্যে জীবন যাপন করতে হয় । রাস্তার যায়গাটি আলমঙ্গীর ও তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা আবু তালেব ও মীর মহব্বত হোসেনের এজমালি সম্পত্তি । এই চলাচলের রাস্তাটি উভয় পক্ষের প্রয়োজনে এবং এলাকার অন্যান্য বাসিন্দাদের সুবিদার্ধে নিজস্ব অথ্যায়নে একক প্রচেষ্ঠায় সড়কটি নির্মান করে দেন আলমঙ্গীর হোসেন। রাস্তাটি নির্মান কালীন সময় থেকে আবু তালেব ও মীর মহব্বত বাধা প্রদান করে আসছেন । এক পর্যায়ে শত বাধা অতিক্রম করে প্রশাসন ও এলাকাবাসির সহযোগিতায় সড়কটি নির্মান সম্পন্ন করা হয় ।

এরপর প্রতিপক্ষ আবু তালেব ও মীর মহব্বত সড়কটি কেটে দিতে এবং বন্ধ করে দিতে নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন । এক পর্যায়ে তারা প্রবাসী আলমগীর হোসেন কে নানা ভাবে হুমকি দমকি দিতে খাকে এবং রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য । বিষয়টি এলাকাবাসি জানার পর আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আবু তালেব গংরা । অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাতের আধারে বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত মিলে নবনির্মিত পাকা সড়কটির নিচ থেকে মাটি কেটে পাশের পুকুরে ফেলে দেয় । বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন কে অবহিত করা হলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। সড়কের নিচের মাটি কেটে ফেলে দেয়ায় পাকা সড়কটির ভিতরের অংশে সরংয়ের সৃষ্ঠি হয়েছে। এতে করে রাস্তাটি এখন ঝুকিপূর্ন হয়ে পরেছে যে কোন সময় পথচারী চলাচলে ধ্বসে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বড় রকমের একটি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । প্রবাসী আলমঙ্গীর হোসেন জানান, "আমি প্রবাসে থেকেও এলাকার উন্নয়নে কাজ করি । এই রাস্তাটি আমার খুব একটা প্রয়োজন নেই কারন আমি বাড়িতে থাকিনা, কয়েক বছর পরপর দেশে আসি মাটির টানে, এলাকাবাসির টানে। আমার এখানে কারোও সাথে শ্ত্রুতা নেই। এলাকার উন্নয়নের সার্থে এবং বাড়ির পাশে বেশ কিছু পরিবার দীর্ঘদিন যাবত যাতায়তের কষ্ট করছে তাই আমি নি উদ্যোগে রাস্তাটি করে দেয়ার পরিকল্পনা করি ।বর্তমানে রাস্তাটির বাকি অংশ দুর্বৃত্তদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে রাতে পাহাড়া বসানো হয়েছে এবং সিসি ক্যামেরা বসানো পর্যন্ত হয়েছে । এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা: মো. আব্দুল আউয়াল জানান, সড়কটির বিষয়ে উভয় পক্ষের অভিযোগ রয়েছে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত