লৌহজংয়ে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন

  লৌহজং প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২১, ২১:০৭ |  আপডেট  : ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে গাঁওদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যেগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪০ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল ও বস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় গাঁওদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব শাহ্ আলম শিকদারের সভাপতিত্বে ও গাঁওদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব বাদল হোসেন হাওলাদারের সঞ্চালনায় আজ গাঁওদিয়া প্রাইমারী স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন" ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের ঘুমন্ত, নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালীদের উপর বর্বর হামলা চালিয়ে হত্যা ও মানুষের ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতি শুরু করলে জিয়া দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিগ্রোহ ঘোষনা করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধে পরাজিত হলে নির্ঘাত মৃত্যু জেনেও সেদিন দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। স্ত্রী- সন্তানদের জীবন বিপন্ন হতে পারে জানা সত্তে¡ও জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করার জন্য নিজ নামে জেড ফোর্স গঠন করেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে বিরত্বপুর্ণ অবদান রাখেন।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশ পরাধীনতার শৃক্সখল থেকে মুক্ত হলে লাল সবুজের পতাকায় শোভিত স্বাধীন দেশে তিনি পুনরায় সেনাবাহিনীতে ফিরে যান এবং ১৯৭২ সালে সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৭৩ সালের শেষের দিকে তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন।১৯৭৫ পরবর্তী দেশের রাজনৈতিক চরম সংকটময় মুহূর্ত তিনি আবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মুল কেন্দ্র বিন্দুতে চলে আসেন। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই তিনি বাংলাদেশ কে বিশ্বের মানচিত্রে স্বনির্ভর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্ন গণমুখি কর্মসুচি গ্রহন করেন, খাল খননের মাধ্যমে কৃষি বিপ্লব,গণস্বাক্ষরতা কর্মসুচি গ্রহন করে শিক্ষা খাতের উন্নয়ন, নারী শিক্ষার উন্নয়ন,পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপন কর্মসুচি গ্রহন, দেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ম›রনালয় গঠন, যুব সমাজ কে কর্মমুখি করে গড়ে তুলতে যুব ম›রনালয় গঠন, রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস ব্যবসা চালুকরন, গ্রাম সরকার গঠন ও সামাজিক শৃক্সখলা রক্ষায় আনসার ও ভিডিপি বাহিনী গঠন,সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রদান সহ বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহন করে এদেশ কে এগিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেশে গণত›র ফিরিয়ে এনেছিলেন। অথচ আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ‌ জনগনের ভোটাধিকার হরন করে‌ এদেশের গনতন্ত্র কে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ আমাদের মাঝে জিয়াউর রহমান নেই তার আর্দশকে বাস্তবায়ন কর‌তে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের  নি‌র্দে‌শে সবাই‌কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলে দেশে পুনরায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।

উক্ত আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল ও বস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  লৌহজং উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব হাবীবুর রহমান অপু চাকলাদার, লৌহজং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ লতিফ ঢালী,মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ মুক্তার হোসেন খান। বক্তব্যে রাখেন লৌহজং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ তানভীর আহমেদ অভি, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন তালুকদার,মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ম›িজল হোসেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুজন হাওলাদার, লৌহজং উপজেলা মহিলা দলের সাধারন সম্পাদিকা আলেয়া ইসলাম আলো, লৌহজং উপজেলা তাঁতী দলের সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য জুয়েল শিকদার। সভা শেষে জিয়াউর রহমানের আতœার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরন করা হয়। ৫ শতাধিক পরিবারের  মাঝে বস্ত্র বিতরন করা হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত