রাজস্থানকে হারাতে তেমন কষ্টই হলো না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ২০:০০ |  আপডেট  : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৭

ব্যাটিংটাই ডুবিয়ে দিল রাজস্থান রয়্যালসকে! ফ্লাট উইকেটে ১৭২ রান তাড়া করতে তেমন কষ্টই হয়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। ৭ উইকেট আর ৯ বল হাতে রেখে তারা হারিয়েছে রাজস্থানকে, তুলে নিয়েছে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয়। অন্যদিকে ছয় ম্যাচে চতুর্থ হারের স্বাদ পেয়েছে মোস্তাফিজদের দল।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে পাওয়ার প্লে'তে ভালো রান পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ক্রিস মরিস ধীরগতির রোহিত শর্মাকে (১৭ বলে ১৪) তুলে নিলেও ১ উইকেটে ৪৯ রান তুলে মুম্বাই।

ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে এনেছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। টাইগার পেসারের প্রথম দুই ডেলিভারিতেই চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন ডি কক। তবে পরের চার বলে ৩ রানের বেশি দেননি কাটার মাস্টার। প্রথম ওভার শেষ করেন ১৩ রান দিয়ে।

অষ্টম ওভারে আবারও বল হাতে পান মোস্তাফিজ। ওভারের প্রথম বলটি স্লিপে ক্যাচের মতো ওঠে বাউন্ডারি হয়ে যায়। তৃতীয় বলেই এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হয়েছিল, রিভিউও নিয়েছিল রাজস্থান। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে যাওয়ায় সেটা বাতিল হয়ে যায়। ওই ওভারে ৮ রান খরচ করেন ফিজ।

দশম ওভারে এসে রাজস্থানকে আরও একটি উইকেট এনে দেন মরিস। সূর্যকুমার যাদব ভালো শুরুর পর ১০ বলে ১৬ করে হন মিডউইকেটে জস বাটলারের ক্যাচ। তবে ডি কক ঝড় থামেনি। ৩৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুম্বাই ব্যাটসম্যান।

ডি ককের সঙ্গে ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়াও। ১৬ ওভারে ২ উইকেটেই ১৪০ রান তুলে ফেলে মুম্বাই। ২৪ বলে তাদের তখন দরকার ৩২ রান। এমতাবস্থায় আবারও বোলিংয়ে মোস্তাফিজকে আনেন রাজস্থান অধিনায়ক।

এবার প্রথম বলেই ক্রুনালের ছক্কা হজম করেন মোস্তাফিজ। তবে এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। পরের দুই বল ডট দেন। চতুর্থ বলে দারুণ ইনসুইংগারে বোল্ড করেন ক্রুনালকে। ওই ওভারে মোটে ৭ রান খরচ করেন কাটার মাস্টার। ফলে ১৮ বলে ২৫ দরকার পড়ে মুম্বাইয়ের।

কিন্তু পরের ওভারে এসেই লড়াইটা নষ্ট করে দেন ক্রিস মরিস। প্রোটিয়া পেসার খরচ করেন ১৬ রান। সেখান থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে আর কষ্ট হয়নি ডি ককের। ৫০ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৮ বলে ১৬ রান নিয়ে তার সঙ্গে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন কাইরন পোলার্ড।

মোটামুটি ভালো বোলিং করেও দিনশেষে খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজ। ৩.৩ ওভারে বাঁহাতি এই পেসার পেসার ৩৭ রান খরচায় নিয়েছেন ১ উইকেট। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ক্রিস মরিসের শিকার ২টি।

এর আগে রাজস্থান রয়্যালস প্রত্যাশিত পুঁজি পায়নি জাসপ্রিত বুমরাহর দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। ১৭তম ওভারে ৫ আর ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করে রাজস্থানকে আটকে দেন এই পেসার। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা তুলে ৪ উইকেটে ১৭১ রান।

অথচ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল রাজস্থানের। ৪৬ বলে ৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন জস বাটলার আর জশস্বী জাসওয়াল। ৩২ বলে ৪১ রান করে বাটলার রাহুল চাহারের বলে স্ট্যাম্পিং হলে ভাঙে এই জুটি। চাহারেরই ফিরতি ক্যাচ হন আরেক ওপেনার জাসওয়াল, ২০ বলে তার উইলো থেকে আসে ৩২ রান।

এরপর সঞ্জু স্যামসন চালিয়ে খেলে দলকে অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন। ২৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রাজস্থান অধিনায়ক। তবে শিভাম দুবে সেই তুলনায় ছিলেন অনেকটাই ধীরগতির। ৩৫ রান করতে এই অলরাউন্ডার খরচ করে বসেন ৩১ বল।

ফলে মাঝের সময়টায় রানের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল রাজস্থানের। শেষদিকে ডেভিড মিলার আর রিয়ান পরাগও ওমন বিধ্বংসী কিছু করে দেখাতে পারেননি। মিলার ৪ বলে ৭ আর পরাগ ৭ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

মুম্বাই বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে নেন একটি উইকেট। রাহুল চাহার ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৩৩ রান।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত