পরিবেশ হুমকির মুখে
রংপুরে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠছে ছমিল
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:২২ | আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬
রংপুরের কাউনিয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছারপত্র ও বৈধ লাইসেন্স ছারাই অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে ৫০ টিরও বেশী ছমিল। কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নজরদারী না থাকায় উপজেলার যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এ সব ছমিল। ফলে পরিবেশ মারাত্বক ভাবে হুমকিতে পড়ছে। সেই সাথে উজার হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব গাছপালা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে একটি পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত ছমিল গড়ে উঠেছে। জানাগেছে ১টি মাত্র ছমিলের লাইসেন্স রয়েছে বাকী সব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা গেছে এ সব ছমিল চলছে শেলো মেশিনের ইঞ্জিন অথবা বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে। ছমিল চালানোর নিয়ম নীতি মানা তো দূরের কথা এসব মিলের মালিক ও কর্মচারীরা জানেই না ছমিল চালানোর আবার নিয়ম কানুন আছে কিনা ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একজন ছমিল মালিক জানান, ছমিল স্থাপনে লাইসেন্স নিতে হয় সে বিষয়ে আমার জানা নাই। তবেত কিছুদিন আগে একজন সরকারী লোক এসেছিল তিনি লাইসেন্স করার কথা বলে গিয়েছেন। কিন্তু কোথায় গিয়ে লাইসেন্স করতে হবে তা আমি জানি না। তার ছমিলে কর্মরত ৩ জন শ্রমিকের সাথে কথা বল্লে তারা জানায়, কিভাবে দুর্ঘটনা এড়িয়ে ছমিলে কাজ করতে হয় সে বিষয়ে তাদের কোন প্রশিক্ষণ নেই। সেই সাথে নেই তাদের নির্ধারীত পোশাকও। বিগত সময় ছমিলের কাটিং মাষ্টার এর সাথে যোগালীর কাজ করে করে তারাও এখন কাটিং মাস্টারের কাজ করছে।
উপজেলায় কয়টি ছমিল আছে এ প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা বন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ফরেস্টার মোঃ নুর নবী জানান আমি পীরগঞ্জ, পীরগাছা ও কাউনিয়াসহ তিনটি উপজেলার দায়িত্বে আছি, কাউনিয়ায় তালিকা ভুক্ত ছমিল ৩৯টি, বৈধ লাইসেন্স রয়েছে ৩টির, আর ২টির আবেদন প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। ছমিলের বৈধ লাইসেন্স করার জন্য বাকিদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে এবং ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রংপুরে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। বছরের পর বছর অবৈধভাবে ছমিল চালিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করলেও কর্তৃপক্ষের নজরে আসছে না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক জানান আমি যোগদানের পর বিষয়টি আমার নজরে এসছে, এ বিষয়ে বন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত