মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা

যুদ্ধজয়ের কিশোর নায়ক

  সাহিত্য ও সংস্কৃতি ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২২, ১৬:২৪ |  আপডেট  : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৪১

স্বপন কুমার মন্ডল
------------------------

 

বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক পাশা মোস্তফা কামালের সত্য কাহিনী অবলম্বনে লেখক শায়লা রহমান তিথির পরিচালনায় বাংলাদেশে সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের  অনুদানে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘যুদ্ধজয়ের কিশোর নায়ক’ এর প্রিমিয়াম শো ২৩ ও ২৪ আগস্ট  রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৩ শে আগস্ট বিকাল ৫টায় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত থেকে  চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো উদ্বোধন করেন। ছবির প্রথম শো শেষ হলে ছবিটির উপর বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন,  বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং প্রাবন্ধিক ড. নূহ- উল-আলম লেনিন, "সূর্যদীঘল বাড়ি" চলচ্চিত্রটির পরিচালক জনাব মসিহউদ্দীন  শাকের, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও লেখক মো. আনিসুর রহমান, অবারিত বাংলার সাধারণ সম্পাদক  ও গ্রামনগর বার্তার প্রকাশক  খান নজরুল ইসলাম হান্নান, জনপ্রিয় অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা, বিখ্যাত কবি ও গীতিকার ব্রত রায়, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মধুমিতা মৌ এবং চলচ্চিত্রটির পরিচালক এবং প্রযোজক শায়লা রহমান তিথি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চলচ্চিত্র পরিচালক প্রদীপ ঘোষ এবং চলচ্চিত্রটির গল্পকার পাশা মোস্তফা কামাল।

তথ্য সচিব মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই চলচ্চিত্রের জন্য নির্মাতাদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগ দেশের মানুষের কাছে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবে এবং এ ধরনের সিনেমা তৈরির জন্য সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা অবশ্যই নিয়মিত থাকবে।’ ২০২০-২১ অর্থবছরের অনুদানে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটির পরামর্শক এবং  দেশের প্রথম সরকারি অুনদান প্রাপ্ত ছবি ‘সূর্যদীঘল বাড়ি’ সিনেমার  পরিচালক মসিহউদ্দিন শাকের, সংগীত শিল্পী ও পরিচালক বাপ্পা মজুমদার এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শিল্পকলা অ্যাকাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ২৪-২৫ আগস্ট বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা প্রতিদিন ছবিটির মোট ৬টি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা অবলম্বনে এক গ্রাম্য কিশোরের সাহসিকতার কাহিনী ‘যুদ্ধজয়ের কিশোর নায়ক’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকার মুজিবুল হক, শিল্প নির্দেশনায় আনোয়ার সেলিম, সম্পাদনায় ধীমান মিয়াজী, চিত্রগ্রহণ এসএম সুমন আহমেদ, সংগীত পরিচালনায় বাপ্পা মজুমদার, গীতিকার পাশা মোস্তফা কামাল ও ব্রত রায়, গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বাপ্পা মজুমদার ও মধুমিতা মৌ। এতে অভিনয় করেছেন গোলাম ফরিদা ছন্দা, নূপুর হোসাইন, মুজাহিদ বিল্লাহ, ফারুকী, শাশ্বত স্বপন, আতিকুর রহমান শিহান, মোহনা হোসাইন, সাবিকুন্নাহার কাঁকন, নাজমুল হক বাবু, তৌফিক বুলেট, জাহিদ হাসান, ফাহাদ এবং শ্রীময়ী শ্রেষ্ঠা রায় প্রমুখ।

সিনেমার কলা-কুশলীরা

চলচ্চিত্রটি মূলত একটি চৌদ্দ-পনেরো বছরের নুরু নামের ছেলের সাহস, কৌশল এবং আত্মবিশ্বাসকে অবলম্বন করে রচিত। আত্মবিশ্বাস এবং সাহস থাকলে মানুষ অনেক বড় বড় বাধা অতিক্রম করতে পারে। গল্পে নুরু সাহসিকতার সাথে অত্যন্ত কৌশলে পাকিস্তানিদের দোসর রাজাকারদের কাছ থেকে অস্ত্র চুরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে পৌঁছে দেয়। তারপরই মুক্তিযুদ্ধারা পাকিস্তানিদের আক্রমণ করতে সক্ষম হয়। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এ চলচ্চিত্রের চিত্রায়ন বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে একটি চমৎকার আত্মোপলব্ধি এনে দেবে, দেশপ্রেমে উজ্জীবীত করবে বলে মনে করেন এই চলচ্চিত্রের পরিচালক তিথি।

১ম শো দেখার পর দেশের চলচ্চিত্র বোদ্ধা, অভিনয় শিল্পী ও দর্শকদের মন্তব্যগুলো ছিল সিনেমার জন্য আশা জাগানিয়া। ব্লগার, মুক্তমনা, সিনেমা বোদ্ধা, লেখক মুজিব রহমান বলেন, স্বল্প দৈর্ঘের ছবিটির জন্য তিথি আপা ও পাশা ভাই ধন্যবাদ প্রাপ্য। একটি সত্য ঘটনার উপরে নির্মিত হয় সিনেমাটি৷ ঘটনা নোয়াখালীর কিন্তু নির্মিত হয় বিক্রমপুরের মাটিতে৷ ছবিটি মনকে ছুঁয়ে দিতে পেরেছে৷ অভিনেতাদের মধ্যে পরিচিত মুখ টেলিভিশনের ছন্দা! শাশ্বত স্বপন দার মতো এমেচার অভিনেতারা উৎরে গেছেন৷ যদিও প্রথম দৃশ্যে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম৷ কোনরূপ প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই  শায়লা রহমান তিথি আপা একটি সরল গল্পের সরল চিত্ররূপ দিয়েছেন ছোটদের উপযোগী করে৷ সাধারণ দর্শকদের ভাল লাগবে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ যদি প্রথম লক্ষ্য হয় তবে বলবো তারা সফলই হয়েছে। পাশা মোস্তফা কামাল ভাই ছোটদের জন্য সবসময়ই  ভাল লিখেন৷ শিশুকিশোরদের জন্য আমাদের দেশে চলচিত্র কমই নির্মিত হয়েছে৷ 

দর্শক  চিত্ত রন্জন দেবনাথ  বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কাহিনি নিয়ে তৈরি সিনেমা " একাত্তরের যীশু " এবং "গেরিলা"র পর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্ব্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি " যুদ্ধ জয়ের কিশোর নায়ক " দেখলাম আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। সিনেমা পরিচালনায় উনার মুন্সিয়ানা উল্লেখ করার মতন। পাশা ভাই কাহিনিতে অল্প সময়ে যুদ্ধকালীন অনেক সত্য প্রকাশ করেছেন । ক্যামেরা এবং সাউন্ড ভাল ছিল। দুটি গানই অসাধারণ। তবে পাকিস্তানিদের, রাজাকারদের অত্যাচার দেখানোতে আর একটু সাসপেন্স থাকতে পারত। 

  কলেজ ছাত্র ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, নির্যাতিতা নারী ও পত্র বাহক  মুক্তিযোদ্ধাকে অতি দ্রুত বা সর্টকার্টে শাস্তি দেওয়া হল, নিশ্চয় শাস্তিটুকু পরিচালক চাইলে আর একটু বাড়াতে পারতেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কত কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার সত্য রূপগুলো বর্তমান শিশু –কিশোরদের দেখানো উচিত, জানানো উচিত। পরিচালক প্রধান চরিত্র নুরুকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করেছেন, বাকিদের  মধ্যে দুই –একজন বাদে সবাইকে কোন রকম দেখিয়ে ছবিটি শেষ করেছেন। সর্ট ফিল্ম মনে হয় এমনি হয় । সামান্য হলেও সবার অভিনয় দারুন উপভোগ্য  ছিল; তবে নুরু , নুরুর মা, ভয়ানক নির্যাতিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, কাসেম , কাসেমের প্রেমিকা, রাজাকার এর অভিনয় ছিল নিঁখুত।  ফাহিম শাহরিয়ার আরো বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন সিনেমাটি প্রদর্শিত হলে জনসমাগম আরো বেশি হতো।

নির্যাতিত পত্র-বাহক কাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করা শাশ্বত স্বপন তার অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, এ এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা!১৯৭১ সালে যুদ্ধ করার কোন অভিজ্ঞতা আমার নেই, থাকার কথাও না। কিন্তু ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন-১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন-১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থান -১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা ইত্যাদি বিষয়ে পড়তে পড়তে এমন অবস্থা হয়েছে আমার, মনে হয়, আমিও সেই সময়ের অংশ ছিলাম।সেই আবেগ, সেই কষ্ট বেদনা বুকে ধারন করে ছিলাম বহু বছর এবং তা প্রকাশ করার ছোট্র একটা সুয়োগ করে দেবার জন্য মুক্তিযুদ্ধ ভিক্তিক সিনেমা, 'যুদ্ধ জয়ের কিশোর নায়ক'—এর পরিচালক শায়লা রহমান তিথি আপাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সেই সাথে লেখক, কবি, গায়ক, গীতিকার, সুরকার, ছড়াকার -- আরো বহুগুণে গুণান্বিত শ্রদ্ধেয় পাশা মোস্তফা কামাল ভাই, চলচ্চিত্র পরিচালক প্রদীপ ঘোষ সহ এই সিনেমার শিল্পী কলা-কুশলী—সবাইকে ধন্যবাদ। এই সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে, আমি সত্যিই মুক্তিযুদ্ধ করছি এবং ১৯৭১ সালে নুরুর মত কিশোর থাকলে, বার্তাবাহকের মত যুবক থাকলে অবশ্যই যুদ্ধ করতাম। পরিচালকের নির্দেশনায় নিজের নাট্য জীবনের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার বার্তাবাহক এর চরিত্রে সবটুকু ঢেলে দেবার চেষ্টা করেছি। বাকি শিল্পীরাও সবাই সর্বোচ্চ অভিনয় গুণ প্রকাশ করেছেন। আশা করছি, দর্শকদের মনে সিনেমাটি হৃদয়গ্রাহী হবে, অনেকদিন আলোচনার বিষয় হয়ে থাকবে। ছুটির ঘন্টা , এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, দিপু নাম্বার টু এর পর আজ যুদ্ধজয়ের কিশোর নায়ক দেখলাম। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ১৪ বছরের একটি কিশোর। অনেকদিন আমরা কিশোরদের নিয়ে নতুন কোন ছবি দেখি না। কিশোরদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ভিক্তিক সিনেমার কাজ বাংলাদেশে খুব কমই হয়েছে। আরো বেশি হওয়া উচিত। সবশেষ কথা হল, আধ ঘন্টা বা এক ঘন্টা সর্ট ফিল্ম নয়, এই সিনেমা ২-৩ ঘন্টার ফুল ফিল্ম হওয়া উচিত। 

সবচেয়ে ভালো মন্তব্য করেন, এক সময়ের চলচ্চিত্র পরিচালক,  এই সিনেমার পরিচালকের পিতা আনিস রহমান, তিনি বলেন, সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র যুদ্ধ জয়ের কিশোর নায়ক , ২৪ আগষ্ট চলচ্চিত্রটি দেখলাম। না দেখলে ভাল কিছু মিস করতাম। ম্যুভিটির কাহিনিকার বিশিষ্ট ছড়াকার পাশা মোস্তফা কামাল। তাঁর গ্রামের নিজ বাড়ির ঘটনা উপপাদ্য বিষয়। তাঁর বয়স তখন পাঁচ কী ছয়। কিশোর বয়সে তাঁর দেখা এবং পরে শোনা বিষয় বস্তু। অপরদিকে প্রযোজক ও পরিচালক বর্তমান প্রজন্মের, মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। অথচ তাদের নিজ বাড়িতেই মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্প ছিল। তার দুই চাচা মুক্তিযোদ্ধা। বাড়ির সবাই প্রকারান্তে জড়িয়ে ছিলেন স্বাধীকার আন্দোলনে। বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে কীভাবে দেখে, তাদের চিন্তা চেতনা, মূল্যবোধ এর কিছুটা ফুটে উঠেছে ম্যুভিটিতে। পরিচালনায় হাতেখড়ি হলেও মনে হয়েছে তার মানসিক প্রস্তুতি অনেক দিনের। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা তাদের করতে হয়েছে নির্মানকালে।  সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত ছবি করতে কিছু শর্ত মেনে চলতে হয়। কিছু বিধিনিষেধ ও অবলিগেশন থাকে। খুব দূর্যোগপূর্ণ পরিবেশে ছবিটি নির্মাণ করতে হয়েছ। করোনা মহামারি,গাড়ি চলাচল বন্ধ, সবাই তরুণ নায়ক নায়িকা, তাবত সেটের লোকজনকে এরই মধ্যে বিক্রমপুরে শুটিং স্পটে যাতায়াত করতে হয়। বিদ্যুত বিভ্রাট, আরো কত কি! ম্যুভিটির বড় সম্পদ অভিনয়, ফটোগ্রাফি, ট্টিটমেন্ট ও সঙ্গীত। নায়িকা অর্থাৎ মায়ের চরিত্রে গোলাম ফরিদা ছন্দা অসাধারণ অভিনয় করেছেন। কিশোর যোদ্ধা নুরু চরিত্রে আতিকুর রহমান শিহান অনবদ্য। আবহ সঙ্গীত চমৎকার। বাপ্পা মজুমদার ও মধুমিতা মৌ এর গাওয়া গান দুটি ম্যুভিটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক। দু'টি দৃশ্য মনে থাকবে অনেক দিন। একটি হচ্ছে রাজাকররা যখন নুরুদের একমাত্র ছাগলটি পাকিস্তানী হামাদের জন্য নিয়ে যায় তখন অসহায় কিশোর নুরুর শরীরী প্রতিবাদ। অপরটি হানাদার বাহিনীর জোরপূর্বক নারী নির্যাতনকালে স্ক্রীন ব্লাকআউট করে শব্দের এ্যাফেক্ট ব্যবহার করা। ম্যুভিটি দর্শক নন্দিত হবে আমার বিশ্বাস। সরকারীভাবে দেশের সর্বত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হলে বর্তমান প্রজন্ম সম্যক ধারণা লাভ করতে পারবে। 
প্রদর্শনীর  ২য় ও শেষ দিন  সিনেমার পরিচালক শায়লা রহমান তিথি বলেন, ২৪ এবং ২৫ --এ দুদিন প্রচুর দর্শকের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে, আনন্দিত করেছে। সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক এই সিনেমাটি আলোর মুখ দেখতে পেল।এ ছবিটি প্রদর্শনের ধারা অব্যাহত থাকবে কিছু দিন পর পর হলেও। যারা সময়ের অভাবে এবং দূরত্বের কারণে ছবিটি দেখতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন-- আশা করি তাদের দ্বারপ্রান্তে অতি দ্রুত উপস্থিত হতে পারবো। যুদ্ধজয়ের সাথেই থাকুন।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত