বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হলেন কুদরত-ই- খুদা মিলন

প্রকাশ: ৩ জুন ২০২৫, ১৯:১৯ | আপডেট : ৫ জুন ২০২৫, ১০:৪৩

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনকে অবশেষে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি তার পদে থেকে এখন আর চেয়ারম্যান নন। জানা যায়,স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৫) ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারের দায়িত্বশ সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের বিরুদ্ধে নানা ভাবে অর্থ আত্মসাৎ, জমি জবরদখল, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম ও বাণিজ্য, ট্রাক প্রতি লোড-আনলোড কার্যক্রমে সিন্ডিকেট গঠন করে চাঁদা আদায়ের মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ চলে আসছিল।এছাড়াও তিনি ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ থেকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করে অনুপস্থিত আছেন। প্রজ্ঞাপনটি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাক্ষর করেন ও উপ-সচিব মো. নূর আলম।অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক তদন্ত করে এবং অভিযোগসমূহের প্রমাণ পায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান কুদরত-ই- খুদা মিলনকে সাময়িক বরখাস্ত করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।তবে, দাখিলকৃত জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং সরেজমিনে পুনঃতদন্তে অভিযোগগুলোর সত্যতা পুনরায় প্রমাণিত হওয়ায়, স্থানীয় সরকার বিভাগ চূড়ান্তভাবে তাকে তার পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। জানা যায়,২৬ মে ২০২৫ তারিখে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) (খ) ও (ঘ) ধারার অধীন সংঘটিত অপরাধের কারণে তাকে ৩৪(৫) ধারায় অপসারণ করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির জন্য তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই বিষয়ে কুদরত- ই- খুদা মিলন মুঠোফোনে বলেন ' এটা রাজনৈতিক চাপে পড়ে করা হয়েছে। আমি নিয়মের মধ্যে ছিলাম কখনো কারো কাছে অন্যায় ভাবে কখনো কিছু করিনি। তাছাড়া আমার পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে আমার চেয়ারম্যানেনি করারও ইচ্ছা নাই।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত