মোল্লারহাটে ডিকেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকর বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ 

বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার দারিয়ালা কাচনা কুশলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোল্লা জমির হোসেন বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনৈতিক অর্থ আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনৈতিক অর্থ আদায় এর প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সরকারের দেয়া বিধি-বিধান অমান্য করে ওই বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের থেকে মাসিক বেতন সহ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। বিধি বহিভূর্তভাবে অর্থ আদায় ও আত্মসাতের ঘটনা জানাজানি হলে শনিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোবে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার থেকে প্রতিষ্ঠানকে মাসিক বেতনসহ যাবতীয় অর্থ প্রদান ও পরিশোধ করা হয়েছে। শিক্ষাবান্ধব সরকারের মহৎ উদ্যোগের বিষয়টি গোপন করে অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের থেকে নিয়মিত মাসিক বেতনসহ বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ বানিজ্য করে চলেছেন ঐ প্রধান শিক্ষক।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধান শিক্ষকের এ অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ধারাবাহিকতায় এ বারো পরীক্ষার্থীদের থেকে ৩৫০ টাকা পরীক্ষার ফিস এ ছাড়াও অবৈধ মাসিক বেতন মিলিয়ে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের থেকে ১ হাজার ৭৯০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।একই ভাবে অন্যান্য শ্রেণীর উপবৃত্তি প্রাপ্তদের থেকেও অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ অবৈধ অর্থ আদায় করতে শিক্ষার্থীদেরকে দাড় করিয়ে শাস্তি দেয়াসহ বেশি কথা বলা হয় বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে দারিয়ালা কাচনা কুশলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোল্লা জমির হোসেন বলেন, উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভুল করে হয়তো কেউ মাসিক বেতনসহ টাকা দিয়ে থাকতে পারে। বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, কেনো সমাবেশ করছে তা আমার জানা নেই, এটা শিক্ষার্থীদের বিষয়। 

অপরদিকে শিক্ষার্থীরা অভিভাবকসহ স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, সরকারের মহৎ উদ্যোগগুলো এভাবে গোপন করে যেন কেউ শিক্ষার্থীদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে না পারে সে বিষয়ে সরকারিভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।