মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি রেমিট্যান্স আনার সুযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১০:২৩ |  আপডেট  : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৩

ব্যাংকের পাশাপাশি বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়সহ মোবাইল ফোনে  আর্থিক সেবাদানকারী (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আনার সুযোগ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এসংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সপ্রাপ্ত এমএফএস প্রতিষ্ঠানে এই সেবা পাবেন প্রবাসীরা। এতে করে তাত্ক্ষণিকভাবে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। এত দিন বিদেশি কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এনে ঐ অর্থ গ্রাহকের মনোনীত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিত। এখন এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি রেমিট্যান্স আনতে পারবে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোবাইল ফোন সার্ভিস প্রোভাইডাররা প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসনের জন্য বিদেশে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার, ব্যাংক, ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড স্কিম ও অ্যাগ্রিগেটর পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে। 

আগ্রহী মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আয় প্রত্যাবাসনসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। সার্কুলারের ভাষ্য অনুযায়ী, বিদেশি প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্থানীয় মোবাইল ফোন ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা জমা হবে, যা প্রবাসীর মোবাইল ফোন ফাইন্যান্সিয়াল হিসাবে টাকায় জমা হবে। বিদেশে কর্মরত প্রবাসীরা যথাযথ ই-কেওয়াইসি পরিপালন করে মোবাইল ব্যাংকিং, অর্থাৎ এমএফএসে হিসাব খুলতে পারবেন। এদেশীয় ব্যাংক মোবাইল ফোন সার্ভিস প্রোভাইডারদের সেটেলমন্টে অ্যাকাউন্ট সুবিধা দেবে। ব্যাংকের বিদেশি ‘নস্ট্রো’ হিসাবে অর্থ জমার পর ঐ অর্থের সমপরিমাণ টাকা সেটেলমেন্ট হিসাবে জমা হবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালার আওতায় স্থানীয় বিকাশ, রকেটের মতো মোবাইল ফোন সার্ভিস প্রোভাইডাররা বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসনের সুযোগ পাবে, যা অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী আয় প্রত্যাবাসন বন্ধ করতে সহায়তা করবে। 

নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশের দায়দেনা পরিশোধের জন্য বিদেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রাহকের পক্ষে বিদেশি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সংশ্লিষ্ট পণ্য বিক্রেতার এলসি মূল্য পরিশোধ করা হয়। আবার রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্সের অর্থ ঐ  নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে যোগ হয়।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত