মোটা চাল ছেটে মিনিকেট নামে বিক্রি বন্ধে আইন করা হচ্ছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৩৪ |  আপডেট  : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৮

ফাইল ছবি

মিনিকেট নামে ধানের অস্তিত্বই নেই। অথচ প্রায় ৩০ বছর ধরে বাজারে মিনিকেট নামে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের চাল পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ চাল কেটে ছোট করে ‘মিনিকেট’ নামে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বহুবছর। এভাবেই সাধারণ চাল ‘অসাধারণ’ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি চক্র। বিষয়টি নিয়ে অনেকের আপত্তি বহুদিন ধরেই। অবশেষে টনক নড়ছে কর্তৃপক্ষের। নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে এই চাল। এই মিনিকেট চাল নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর মিনিকেট চালের প্রতারণা বন্ধে মানুষকে মোটা চাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। অধিদফতরের কার্যালয়ে সুপারশপ ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই প্রতারণা বন্ধের আহ্বান জানান।

অবশেষে মোটা চালকে মেশিনের মাধ্যমে চিকন বানিয়ে নাম পরিবর্তন করে বিক্রি করা বন্ধে আইন হচ্ছে। এর ফলে মিনিকেটসহ আরও বিভিন্ন নামের যেসব চাল বাজারে উঠছে, সেগুলো আর থাকবে না। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন।

সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে আয়োজিত এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সংলাপে খাদ্যমন্ত্রী দেশের খাদ্যের মজুদ, অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ, নিত্যপণ্যের  দাম নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে ৭/৮ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা খোলাবাজারে চাল বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছি। দেশে খাদ্যের কোনও ঘাটতি নাই এই মুহূর্তে।  খাদ্যের ঘাটতি মেটানোর জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য আমদানি করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত