মেলার প্রবেশ টিকেটে লটারী, লুটে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

  মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম (উজ্জল)

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২৯ |  আপডেট  : ১৯ মে ২০২৪, ১৩:২৩

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার নামে চলছে জুয়ার আসর। ২০ টাকা দামের প্রবেশ টিকেট দিয়ে ভাগ্য পরীক্ষার নামে চালানো হচ্ছে লটারী নামক জুয়া। মাস ব্যাপী এই লটারীতে দেওয়া হচ্ছে নামী ব্যান্ডের একাধিক মোটরবাইকসহ বিভিন্ন রকমের লোভনীয় পুরস্কারের অফার। লোভনীয় পুরস্কারের প্রলোভনে হুমড়ি খেয়ে টিকেট কিনছে অসচেতন মানুষ । সান্তাহারসহ আদমদীঘি উপজেলার এসব মানুষ ৫০/৬০ কিলোমিটার দুরের বগুড়ার ওই মেলায় যাচ্ছে না। কিন্তু পকেট ফাঁকা করে কিনছেন প্রবেশপত্র। সান্তাহার জংশন শহরসহ আদমদীঘি উপজেলা জুড়ে বিক্রি হওয়া ওই মেলার টিকেট কিনতে ভীড় জমাচ্ছেন শ্রমজীবীসহ শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ। এমনকি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের টিফিনের টাকায় কিনছে মেলার প্রবেশপত্র নামের লটারির টিকেট। 

জানা গেছে, বগুড়ার মাঝিড়া (ক্যান্টনমেন্ট- বি- ব্লক) এলাকায় ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বগুড়া ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা। ফেব্রুয়ারি থেকে মেলার প্রবেশপত্র দিয়ে চলছে লটারি। সেই লটারির ড্র সরাসরি সম্প্রপ্রচার করা হচ্ছে স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরের চ্যানেলের মাধ্যমে। ফলে আকৃষ্ট হচ্ছে রাতারাতি লাখোপতি হবার লোভে আক্রান্ত লাখো অসচেতন মানুষ। প্রতিদিন নামিদামী ব্র্যান্ডের একাধিক মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন লোভনীয় পুরস্কার দেওয়ার প্রচার করা হচ্ছে প্রবেশপত্র বিক্রির কাজে নিয়োজিত ভ্রাম্যমান বাহনে লাগানো মাইক থেকে। প্রতিদিন সকাল থেকে ১৫/২০টি ইজিবাইক ও সিএনজি চালিত যানবাহন নিয়ে ৫০/৬০ কিলোমিটার দুরের সান্তাহার শহরসহ আদমদীঘি উপজেলা আনাচে কানাচে অবাধে বিক্রি করছে মেলার প্রবেশপত্র নামের লটারির টিকেট। কিন্তু উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন পালন করছেন নীরব দর্শকের ভূমিকা। এই অবস্থায় দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে সচেতন মহলে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত