মুন্সীগঞ্জ‌ে  পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি 

  লিটন মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জ

প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৫০ |  আপডেট  : ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০২

মুন্সীগঞ্জ সদর উপ‌জেল‌ার বাংলাবাজার ইউ‌নিয়‌নের সরদারকান্দীগ্রা‌মে  পদ্মা  নদীর অব্যাহত ভাঙনে শতাধিক পরিবার ভিটে বাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বৃহস্পতিবার ৮ই সে‌প্টেম্বর সকালে ১০ঘ‌টিকায় সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে, ভাঙন আতংকে রয়েছে  মুন্সীগঞ্জ সদর  উপজেলার বাংলা বাজার ইউ‌নিয়‌রের  ৩‌টি গ্রামের মানুষ। পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত বাড়ি, শতশত একর ফসলি জমি সহ কয়েক কিলোমিটার গ্রাম।

 গত তিন  বছর ধরে ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে বাংলাবাজার ইউ‌নিয়‌রে  ৩টি গ্রামের শতশত ঘর বাড়ি। আতঙ্কে দিন কাটছে  নদী পাড়ের সকল বাসিন্দাদের। ভাঙনে তীব্র আকার ধারণ করায় হুমকিতে রয়েছে বাংলা বাজার ইউ‌নিয়‌নের  সরদারকান্দী ,সন্ভু হালদার কান্দী,পূর্ব ম‌হিশ পুর ‌তিন টি গ্রা‌মের প্রায়ই দুই শতা‌ধিক প‌রিবার ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় প্রতি বছর বর্ষা শুরু হলে পদ্মা  নদীর ভয়াল থাবায় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ইউ‌নিয়‌নের  ঘড়বাড়ী ও ফসলি জ‌মি ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সদর  উপজেলার সরদারকান্দী ,সন্ভু হালদার কান্দী,পূর্ব ম‌হিশ পুর এলাকার  শতা‌ধিক বাড়ির বসতভিটা, ফস‌লী জ‌মি  নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। 

 বাংলাবাজার  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোরহাফ প‌ীর   আমা‌দের কে বলেন, পদ্মা নদী ভাঙা‌নো আমা‌দের  ইউ‌নিয়‌নে  প্রতিবছরই  এই ভাঙ্গ‌ন শুরু হয়  আমি আমার ইউ‌নিয়‌রের পক্ষ থে‌কে এবং  নিজ অর্থ‌্যায়‌নে  যতটুকু  আমার দ্বারা সন্ভব খাদ‌্যসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা  করি কিন্তু সরকারি ভাবে  কোন সাহায্য সহযোগিতা এখন পযর্ন্ত পাইনি। সরকারি পানি উন্নয়ন বোডের কাছে গিয়ে কোন রকম সহযোগিতা পাইনি  তারা সহযোগিতার আস্বাস দিছেন কিন্তু এখন কিছু  করা সম্ভব নয় পানি  কমলে কাজ  করা  হবে বলে জানান পানি  উন্নয়নবোডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। এলাকার জনসাধারণের দাবি যত তারা তারি সম্ভব নদীর ভাঙ্গন রোধে বেবস্তা নেওয়ার জন্য  সরকারের  প্রতি দাবি।

তিনি আরও বলেন, এই ভাঙ্গন   চলতে থাকলেও বাংলাবাজার ইউ‌নিয়‌নের মানচিত্র থেকে হয়তো একদিন ইউনিয়ন হারিয়ে যাবে। দ্রুত ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সাংসদসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত