মাদারীপুরে ভ্যাকসিন দিতে দেরি হওয়ায় পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২১, ০৮:৪৯ | আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৩৭
মাদারীপুরে দক্ষ জনবল না থাকায় এইচএসসি শিক্ষার্থীদের করোনার ভ্যাকসিন দিতে দেরি হওয়ায় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। এতে টিকা দিতে না পেরে বাড়িতে চলে গেছে অনেক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার মাদারীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ১৮ হাজার ৭২০ ডোজ করোনা ভাইরাসের ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করে।
পরেরদিন জেলা সদর হাসপাতালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৫টি উপজেলার হাজার হাজার শিক্ষার্থী করোনা ভ্যাকসিন নিতে জেলা সদর হাসপাতালে আসেন। সকাল ৯টায় শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের টিকাদান কার্যক্রম।
কিন্তু দক্ষ জনবল না থাকায় টিকাদানে ধীরগতি শুরু হয়।
অনেকেই দীর্ঘসময় রোদে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ভেতরে প্রবেশ করতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশের সাথে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। টিকা দিতে না পেরে বাড়িতে চলে গেছেন অনেক শিক্ষার্থী। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই।
টিকা নিতে আসা বেশ কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা জানান, সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও রুমের মধ্যে প্রবেশ করতে পারিনি। পুলিশ গেটে আটকে দিচ্ছে। তাদের সাথে ধস্তাধস্তি হচ্ছে। স্বল্প সংখ্যক নার্স দিয়ে এই টিকা দেয়ায় ধীরগতি হচ্ছে।
রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ইকরাম হোসেন জানান, একসাথে সবকয়টি কলেজের পরীক্ষার্থীরা টিকা নিতে আসায় এই সমস্যা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাত্র ছয়জন সিনিয়ির স্টাফ নার্স দিয়ে এই টিকা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পুরো টিকাদান কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত