মাদারীপুরে পুলিশ পরিচয়ের প্রভাব দেখিয়ে এক মৃত স্কুল শিক্ষকের বিধবা স্ত্রীর জমি দখলের অভিযোগ

  শফিকস্বপন,  মাদারীপুর 

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২১, ১৯:৩১ |  আপডেট  : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৩২

মাদারীপুরে পুলিশ পরিচয়ের প্রভাব দেখিয়ে এক মৃত স্কুল শিক্ষকের বিধবা স্ত্রীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মাদারীপুর সদর উপজেলার দুর্গাবরদী গ্রামের ঘটেছে। এই ঘটনায় বিধবা স্ত্রী মাদারীপুরের একটি আদালতে নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করলেও এখনো কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী ওই অসহায় পরিবার।

সরেজমিনে ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাবরদী গ্রামের মৃত স্কুল শিক্ষক হালিম হাওলাদারের স্ত্রী ফরিদা বেগমের স্বামীর সূত্রে পাওয়া হাউসদী-দুর্গা বরদী মৌজার বিআরএস ৪০৬ খতিয়াওে ১৬৮ নং দাগের বাড়ি ২৮ শতাংশ ও ৮৭৬ নং দাগের নাল ১০৮ শতাংশ মোট ১৩৬ শতাংশ জমির মধ্যে ১২৭ সহম্রাংনশে ১৮ শতাংশ এবং মামলার সাক্ষী ইদ্রিস হাওলাদার ১২৭ সহস্রাশে ১৮ শতাংশসহ ৩৬ শতাংশ জমির রেকর্ডিং মালিক ও দখলদার থাকেন। পরে শিক্ষক হালিম হাওলাদার মারা গেলে তার স্ত্রী ও দুই কন্যা অসহায় দিনযাপন করে। এরই সুযোগে শিক্ষক হালিম হাওলাদারের জমি মনির হাওলাদার, টিটু হাওলদার, রুবেল হাওলাদার, সুমন হাওলাদারগংরা তাদের ভাই পুলিশের এসআই মামুন হাওলাদারের প্রভাব বিস্তার করে গত ৩ মে তারিখে স্বামীর সূত্রে পাওয়া ফরিদা বেগমের জমি দখল করিয়া সিমেন্টর খুঁটি ও কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দখল করেন এবং ফরিদা বেগমকে তার জমি আর কোনদিন ভোগ দখল করতে দেবে না বলেও হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফরিদা বেগম বলেন, পুলিশ দারোগা মামুনের প্রভাব দেখিয়ে আমার স্বামীর সব সম্পত্তি ওরা দখল করছে। আমি মামলা করেও কোন সুরাহা পাচ্ছি না। শুধু জমিই নয়। হাসউদী বাজারে সরকারের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে আমার স্বামী একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করত। সে মারা যাওয়ার পরে ওই দোকানটিও ওরা দখল করে আমাদের ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করে ওরা নতুন ভাড়াটিয়াকে ভাড়া দিছে। আমি এখন আর কোন দোকান ঘরের ভাড়া পাই না। সরকারের কাছে আমি ন্যায় বিচার চাই।

এই বিষয়ে পুলিশ পরিচয়ের প্রভাব দেখিয়ে জমি দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে পুলিশের এসআই মামুন হাওলদাার বলেন, আমার পুলিশ পরিচয়ের প্রভাব দেখিয়ে জমি দখল করিনি। আমার চাচী যেন কারো কাছে জমি বিক্রি করতে না পারে তাই আমরা ওই জমিতে পিলারসহ কাঁটা তাঁরেরর বেড়া দিয়েছি। আর দোকান ঘরের ভাড়া যদি তার লাগে, আমরা ভাড়া তাকে দেব সংসার চালাতে তবে দোকান ফিরিয়ে দেব না।

স্থানীয় দুধখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হিরু খান বলেন, এই ঘটনা নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ মিমাংসার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু মামুনদের পক্ষ রাজি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত