মাদারীপুরের সাদ্দাম শূণ্য হাতে শুরু করে এখন কোটি টাকার খামারী

কোরবানী ঈদে ভালো ব্যবসার আশা করছেন মাদারীপুরের ছোট দুধখালী এলাকার সজীব হোসেন সাদ্দাম। তিনি পড়াশুনা শেষ করে চাকুরীর পিছনে না ঘুরে নিজ এলাকায় শুরু করেন গরু পালন। কঠোর পরিশ্রম আর সততার কারণে সে এখন কোটি টাকার খামারী। 

২০১৯ সালে ঢাকা থেকে এমএ পাস করে ছোট দুধখালী গ্রামের নিজ এলাকা ছোট দুধখালী গ্রামে ১৫টি গরু নিয়ে গড়ে তুলেন একটি খামার । পরিবারের আরো দুই ভাই ও এক শ্রমিক নিয়ে নিজেই খামারে গরু লালন পালন করেন। কৃত্রিম খাবার না দিয়ে বাড়ীর পাশে তিন বিঘা জমিতে সবুজ ঘাস লাগিয়ে সেই ঘাসই গরুর খাদ্য হিসেবে দেন তিনি। ফলে আশপাশের এলাকার মানুষ সারা বছরই সাদ্দামের খামার থেকে গরু কিনে থাকেন। সেই থেকে বর্তমানে সাদ্দামের খামারে ৪০টির গরু পালন করছে। ফলে এবারের ঈদে কোটি টাকার উপরে গরু বিক্রি করবেন তিনি। আর চাকুরীর পিছনে না দৌড়ে উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান তার।

গরু খামারী উদ্যোক্তা সজীব হোসেন সাদ্দাম জানান, কোন কাজই ছোট নয় একটু পরিশ্রম ও একাগ্রতা থাকলে অনেক অর্থ উপর্যনের ক্ষেত্র তৈরি করা যায়। আমি অনেক চাকুররি পিছনে ছুটেছি। কপালে চাকুরী না হয়েয়ে রেগেছে ব্যবসা। তাই গরুর খামার কওের আজ আমিম স্বাবলম্বী । আমি বেকারদে আহবান জানাবো চাকুররি পিছে না ছুটে সপল উদ্যেক্তা হোন। আর তার খামারে আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অন্তত ১০ জন শ্রমিকের। এবারের ঈদের ৪০টি বড় সাইজের গরু হাটে তুলবেন সাদ্দাম।

সাদ্দামের খামারের সাথে কাজ করে আজ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এই এলাকার আ: রব মোল্লার ছেলে রাছেল মোল্লা। তিনি সাদ্দাােমর খামারে কাজ করে তিন বেলা খেয়ে দেয়ে ভারোভাবেই সংসাওে যোগান দিচ্ছেন। হয়েছেন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী । তৈরি হচ্ছে আত্ম- কর্মসংস্থান।  

মাদারীপুর জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুবোধ কুমার দাস বলেছেন, যুবকরা কর্মসংস্থানের জন্যে খামার করলে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ নানা সুযোগ দিবেন তিনি। এছাড়া আগের তুলনায় মাদারীপুরে বাড়ছে খামারের সংখ্যাও। ফলে বেকার সমস্যারও সমাধান হচ্ছে। প্রয়োজনে যুব উন্নয়ন থেকেলোনের ব্যবস্থায়ও সহযোগিতা করবেন। 

সাদ্দাম আরো জানান,  আগামীতে কেউ খামার তৈরি করলে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করবেন । তাই বেকার যুবদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।