মাদারীপুরের ডাসারে নির্যাতিত নারী স্বামীকে গ্রেফতারের দাবীতে অনড়
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:১৩ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৫
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় আলামিন হাওলাদার নামে স্ত্রী নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে অসহায় ভুক্তভোগী নারী। বৃহস্পতিবার দুপুরে কালকিনি উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে স্বামীকে গ্রেফতার করে সঠিক বিচারের দাবিতে দুই অবুঝ সন্তানের উপস্থিতিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার দক্ষিন ভাউতলী গ্রামের অসহায় আবুল হাসেমের মেয়ে নাসিমা বেগমকে প্রায় ১০ বছর আগে পরিবারিকভাবে বিয়ে করেন দক্ষিন মাইজপাড়া গ্রামের রকিব হাওলাদারের ছেলে আলামীন। বিয়ের পর তাদের সংসারে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে জন্ম হয়। এ সন্তান জন্মের পরই আলামীন বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে নাসিমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। নাসিমার পরিবার গরীব হওয়ায় যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তার উপর আরো নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়।
এক পর্যায় নির্যাতন সইতে না পেরে নাসিমা তার দুই সন্তান নিয়ে নিন্মবিত্ত বাবার বাড়িতে আশ্রায় নেয়। এরপর থেকে আলামীন তার স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে সকল যোগাযোগ রক্ষা বন্ধ করে দেন। এতে করে নাসিমা অর্থভাবে তার দুই সন্তান নিয়ে অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছেন। পরে নিরুপায় হয়ে নাসিমা বেগম বাদী হয়ে মাদারীপুর আদালতে যৌতুক ও নারী-শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। আদালত আলামিনকে গ্রেফতারের জন্য ওয়ারেন্ট প্রদান করে ডাসার থানা পুলিশের কাছে পাঠান। কিন্তু ওয়ারেন্ট বের হওয়ার প্রায় এক মাস পার হলেও রহস্যজনক কারণে আলামীনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাদী নাসিমা বেগম।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী নাছিমা বেগম বলেন, ‘সমাজে দুর্বল লোকের কোন দাম নেই। শক্তিশালী না হলে সঠিক বিচার পাওয়া যায় না। আমার স্বামী আলামীনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হলো অথচ থানা পুলিশ তাকে ধরছে না। আমরা তার দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।’ এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলামীনকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আলামীনকে কয়েকবার গ্রেফতার করার জন্য যাওয়া হয়েছিল। তার বাড়ি রাস্তার পাশে থাকায় দ্রুত সে পালিয়ে যায়। তাকে ধরার জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত