দিল্লি ছাড়লেন বাইডেন

মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শেখ হাসিনাসহ বিশ্বনেতাদের শ্রদ্ধা নিবেদন  

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:৪৩ |  আপডেট  : ১৭ মে ২০২৪, ০২:১৫

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (মহাত্মা গান্ধী) সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।

রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা ও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একে একে রাজঘাটে এসে পৌঁছান জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।

এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলৎজ, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেল, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংসহ অন্যান্যরা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।

তাদের সকলকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রনেতারা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে নিজস্ব কনভয়ে আলাদাভাবে রাষ্ট্রনেতারা লিডার্স লাউঞ্জে পৌঁছাবেন।

ভারত মণ্ডপের লেভেল টু সাউথ প্লাজায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপ্রধানরা। পরে সেখানে লেভেল-টু সামিট হলে ‘ওয়ান ফিউচার’ শীর্ষক আলোচনা শুরু হবে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভিয়েতনামের উদ্দেশে দিল্লি ছেড়েছেন।

এর আগে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জি-২০ সম্মেলনের প্রথম দিনে ভারতের নয়াদিল্লিতে সদস্য দেশগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে ‘দিল্লি ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের প্রত্যয়ও রয়েছে। রাশিয়ার নাম না উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর বার্তা।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় কোনো যৌথ ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয় জি-২০ জোটের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক। এমনকি গত মার্চে জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকেও যৌথ ঘোষণা আসেনি।

সম্মেলনের প্রথম দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, যৌথ ঘোষণার ব্যাপারে জোটের সদস্যরা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। সবার মতের ভিত্তিতেই ‘নয়াদিল্লি ঘোষণাপত্র’ গৃহীত হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার প্রস্তাব, এটাই জি-২০ ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে।

তিনি আরো বলেন, আমার অনুরোধ জি-২০-র নেতারা সম্মেলনের ঘোষণাপত্র গ্রহণ করবেন। এই কাজকে সম্ভব করার জন্য আমি সব মন্ত্রী ও শেরপাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত