ভারত সফরে যাচ্ছেন বরিস জনসন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১২:৫৯ |  আপডেট  : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৮

ইউক্রেইন সংকটে এক সুরে কথা না বলা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে চলতি সপ্তাহে ভারতে নামার আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিশ্চয়ই ঘরোয়া রাজনৈতিক সমস্যা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইবেন।

২০২০ সালের জুনে ডাউনিং স্ট্রিটে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজের দেওয়া কোভিড-১৯ লকডাউন নিজেই ভেঙে জরিমানা গোনা জনসনের ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছে।এ নিয়ে ‘দুশ্চিন্তা’ সঙ্গী করেই বৃহস্পতিবার তার ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইস্টার উৎসবের ছুটির পর মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিবেশন ফের শুরু হবে; আর জনসন বলেছেন, তিনি ২০২০ সালের জুনে তার কার্যালয়ে জমায়েত প্রসঙ্গে ‘সত্য তুলে ধরবেন’।

ব্রিটিশ এ প্রধানমন্ত্রী এর আগে আইনপ্রণেতাদের বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যে কোভিডের ওই রমরমা সময়ে তার কার্যালয়ে কোনো পার্টি হয়নি এবং সবসময় নির্দেশনা মেনে চলা হয়েছে।

শনিবার জনসনের কার্যালয় জানিয়েছে, সম্পর্ক আরও গভীর করতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দুই দেশের ‘কৌশলগত প্রতিরক্ষা, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব’ নিয়ে বিশদ আলোচনা করবেন।

একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতিও চাইবেন জনসন; ব্রেক্সিট পরবর্তী কৌশলের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ভারতের সঙ্গে এই চুক্তি করতে চাইছে।তার দুইদিনের এই সফরে ইউক্রেইন বিষয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধ ছায়া ফেলতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।

মস্কোর কাছ থেকে অস্ত্র কেনা ভারত যেন ইউক্রেইনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হামলার কড়া নিন্দা জানায়, তার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো ব্যাপক তদবির করে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েকদিন আগে মোদীকে বলেছেন, রাশিয়া থেকে বেশি বেশি তেল কেনা ভারতের জন্য ভালো হবে না।যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রীও গত মাসে ইউক্রেইন নিয়ে ভারতের অবস্থানে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন।

জনসনের কার্যালয় তার এবারের সফরে ইউক্রেইন প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হবে কিনা, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিভাবে কিছু জানায়নি।

তবে একটি সূত্র বলছে, ভূরাজনৈতিক অন্যান্য প্রসঙ্গে পাশাপাশি জনসনের সফরে ইউক্রেইন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।জনসন বলেছেন, ভারত পৃথিবীর বড় অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর একটি এবং যুক্তরাজ্যের ‘গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার’।

“আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি যখন স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর হুমকির মুখে, গণতান্ত্রিক দেশ ও বন্ধুদের তথন এক থাকা জরুরি,” এক বিবৃতিতে বলেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

জনসনের গত বছরই ভারতে যাওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করতে হয়েছিল।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত