বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেরুন্নেছা মিরা অবশেষে তার বরাদ্দ জমি ফিরে পেলেন: পাচ্ছেন ‘বীর নিবাস’’

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২২, ২০:৪৪ |  আপডেট  : ১৬ মে ২০২৪, ০৯:৩৭

বাগেরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেরুন্নেছা মিরা অবশেষে তার বরাদ্দ জমি ফিরে পেলেন। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করে বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা মেহেরুন্নেছা মিরাকে তাঁর জমি বুঝিয়ে দেন। ১৩ বছর পর তার নামে বরাদ্দকৃত জমি বুঝে পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেরুন্নেছা মিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান চৌধুরীর জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহের“ন্নেছা মিরা এর নামে ২০০৯ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার বড়বাশবাড়িয়া এলাকায় সরকারী এক একর খাস সম্পত্তি বন্দেবস্ত দেওয়া হয়। কিন্তু পাশর্^বর্ত্তী একটি মহল ওই সম্পত্তি ভোগদখল করতে মামলা করেন। নানা অজুহাতে দখলদারেরা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেরুন্নেছা মিরাকে ওই সম্পতি থেকে বি ত করছিলেন। অবশেষে ডিসি স্যারের নির্দেশে সকল জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়। এসময় অবৈধ দখলদার শাহীন হাওলাদার, পিয়ারা বেগম, দিলারা বেগম, তোফাজ্জেল হওলাদার ও হোসনেয়ারা বেগমকে উচ্ছেদ করে আইনানুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহের“ন্নেছা মিরার অনুকুলে বরাদ্দকৃত সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, একজন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ২০০৯ সালে খাস সম্পত্তি বরাদ্দ পেয়েও অবৈধ দখলদারদের নানা অজুহাতের বা’ মারপ্যাচের কারনে বি ত হচ্ছিলেন। অবশেষে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেরুন্নেছা মিরাকে তার সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, সরকারী সম্পত্তি দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ ব্যাপারে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোছাব্বের“ল ইসলাম বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহেরুন্নেছা মিরা ২০০৯ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বড়বাশবাড়িয়া এলাকায় সরকারী এক একর খাস সম্পত্তি বন্দোবস্ত পান। কিন্তু সংলগ্ন কতিপয় ব্যক্তি ওই সম্পত্তি জবরদখল করে রেখেছিলেন, যাদের উচ্ছেদ করে লাল পতাকা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীরাকে তার নামে বরাদ্দ জমি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ একটি বাড়ি “বীর নিবাস” বরাদ্দ হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত উক্ত স্থানে বাড়িটি তৈরী করে দেওয়া হবে।”

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত