বিল না দিলে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস পাবে না

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:০৯ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:০২

বিল পরিশোধ না করলে আবারও আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট) বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবর পাওয়া যায়নি।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, তারা বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছে। আবার দেশের মধ্যে বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকেও গ্যাস কিনে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করছে।

কিন্তু নিয়মিত বিল পরিশোধ না করায় পেট্রোবাংলা যেমন এলএনজির দাম পরিশোধ করতে পারছে না, তেমনি বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানিরও বিলও পরিশোধ করতে পারছে না। এ জন্য জ্বালানি বিভাগ থেকে আইপিপি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে বিল আদায়ের লক্ষ্যে এর আগে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি কয়েক দফা বৈঠক করেও বিল আদায়ে বড় কোনও অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।

জ্বালানি বিভাগে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কাছে বিল আদায়ে তেমন কোনও সাফল্য দেখাতে পারেনি।

এরপর জ্বালানি বিভাগের ওই বৈঠকে আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর কোনও বিদ্যুৎকেন্দ্র বিল না দিলে তাদের লাইন কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেন, এভাবে লাইন কটা কঠিন। বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইন কাটলে সেটি একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে তিতাস বা অন্য কোনও গ্যাস বিতরণ কোম্পানি এটি করতে পারবে বলে আমরা মনে করি না। এছাড়া এটা করতে গেলে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি হতে পারে।

সূত্রগুলো বলছে, এক বছর ধরেই বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে পিডিবি সমস্যা করছে। পিডিবি যেহেতু বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের বিল সময় মতো দিচ্ছে না, ফলে তারাও (বেসরকারি কোম্পানি) গ্যাসের বিল দিতে পারছে না। এতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

দেশে তিন হাজার ৩৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার মোট ২৭টি বেসরকারি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে দুই হাজার ৫৯৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি আইপি বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস ব্যবহার করে। ছোট আইপিপি (এসআইপিডি) রয়েছে মোট ৯৯ মেগাওয়াটের চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এছাড়া তিনটি কুইক রেন্টাল ২২৬ মেগাওয়াট এবং দুটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস দিয়ে মোট ৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।

বেশিরভাগ কেন্দ্রই নিয়মিত গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আসছে। এসব কোম্পানির দৈনিক কমপক্ষে ১৬৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত