বাসার ছাদে দৃষ্টিনন্দন ছাগল ও কবুতর খামার
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২১, ০৯:৩০ | আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৫৭
বাসার ছাদে ছাগল ও কবুতর খামার বানিয়ে ভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা আহম্মেদ নাইডু। তার খামারে রয়েছে নানা প্রজাতির ছাগল ও কবুতর। চাকুরী থেকে অবসরের পর প্রায় ১৫লাখ টাকা ব্যয়ে এই দুটি খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। করোনা কালের সময়কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন খামার থেকে হরেক প্রজাতির ছাগল ও কবুতর সংগ্রহ করে মসšি^ত খামানটি বানিজ্যেক রুপান্তরিত করেছেন।
সরজমিনে দেখা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের হাজী তাছের আহম্মেদ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা আহম্মেদ নাইডুর বাসা আদমদীঘি উপজেলা সদরের মহা সড়কের পাশেই। মাত্র সাড়ে ৮শতক জায়গার উপরে সে চার তলা ভবন নির্মান করেছেন। নিচ তলায় মার্কেট,দ্বীতিয় তলায় পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করেন। বাসার তৃতীয় তলায় ছাগল খামার ও চতুর্থ তলায় কবুতর খামার বানিয়েছেন। তার খামারের নাম রেখেছেন টি,আর, গোট এন্ড প্রিজন ফার্ম(ছাগল-কবুতর খামার)। প্রায় এক আগে সখের বসে খামার দুটি তৈরী করলেও এখন তিনি খামার দুটিতে বানিজ্যিক ভাবে ছাগল ও কবুতর প্রতিপালন করছেন। উপজেলা সদরে এমন দৃষ্টিনন্দন থামার তৈরী করায় অনেক আগ্রহে বিভিন্ন এলাকার লোকজন দেখতে আসেন। অনেকেই মনে করেন খামার দুটি শুধু আয় নয় এমন উদ্যোগে খাদ্য চাহিদার ঘারতি ও পূরন হবে।
অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা আহম্মেদ নাইডু জানান, চাকুরী থেকে অবসরের পর সখের বসে প্রায় এক বছর পূর্বে প্রথমে অল্প কয়েকটি বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল ও কবুতর সংগ্রহ করে ছোট পরিসরে খামার তৈরী করি। এখন তার খামারে ব্লাকব্যঙ্গল, রামছাগল, যুমনাপাড়ী, তোতাপুরি,বিটল,নিয়তিতোতা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫৩টি ছাগল রয়েছে। এসব ছাগলকে প্রতিনিয়ত ঘাস,খড়,ভুষি,ভুট্রা জাতিয় খাবার খাওয়ানো হয়। মাসে প্রায় ১৭/১৮হাজার টাকার খরচ হয়। পাশাপাশি কবুতর থামারে বলপোটার, কিং, সিরাজী, লাখিখা, বিউটিহোমার, মক্ষি, হেলমেট, লালবোম্বাই, লোটন, গারপো, ঘিয়াচুন্নি, সোয়াচন্দন, গিরিবাজ, সাটিং, গলাকষা সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৩৬টি উন্নত মানের কবুতর রয়েছে। এসব কবুতর গুলোকে ফিড,গম,ভুট্রা,যব খাওয়ানো হয়। খামার দুটিতে শ্রমিক রয়েছে দুই জন। প্রতিদিন শ্রমিকরা ছাগল ও কবুতর গুলোকে খাওয়ানো সহ পরিচর্যা করে থাকেন। এদিকে বাসার ছাদে দৃষ্টিনন্দন ছাগল ও কবুতর খামার দেখে অনেকের মধ্যে সমন্বিত খামার তৈরীর আগ্রহ বেড়েছে। খামারী আশা প্রকাশ করেন তার বিনিয়োগের টাকা ছাড়াই এখন এসব ছাগল ও কবুতর বিক্রি করে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাভবান হবেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত