বাসভাড়া কমলো

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৬ |  আপডেট  : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২২

ফাইল ছবি

বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৫ পয়সা কমেছে। দূরপাল্লার বাসের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমিয়ে ২ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একইভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে চলাচল করা বাসে ২ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ডিটিসিএ আওতাভুক্ত ঢাকা ও আশপাশের জেলার বাসে ২ টাকা ৩৫ পয়সা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

সর্বনিম্ন ভাড়া আগের মতো বাসে ১০ টাকা আর মিনিবাসে ৮ টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত এক সভায় ভাড়া কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে নতুন ভাড়ার এ ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উ্ললাহ  নূরী। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। এছাড়া আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ঢাকার পাচটি সড়কে পরীক্ষামূলকভাবে ই-টিকিটিং চালু হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমার হার বিবেচনায় ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও সম্প্রতি ভাড়া বাড়ানোর সময়ে বাস পরিচালনাসংক্রান্ত ১২ ধরনের ব্যয় বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। ওইসব ব্যয় ধরে ভাড়া বাড়ানো হয়।

কিন্তু কমার সময়ে শুধু জ্বালানি তেলের দাম কমার বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। পরিবহণসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, যে হারে বাসের ভাড়া কমানো হয়েছে তাতে যাত্রীরা তেমন সুফল পাবেন না। ২০ কিলোমিটার পথ চললে মাত্র এক টাকা ভাড়া কমবে।

ভাড়া কমানোর বিষয়ে সচিব বলেন, নতুন ভাড়া কার্যকর হয় কিনা তা মনিটরিংয়ে সড়কে বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) থাকবে। অনিয়ম ও অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতবার আমরা যেভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত করেছি, এবারও তা সড়কে থাকবে। কেউ যদি ভাড়া বেশি নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজধানীতে গ্যাসচালিত বাসেও বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাসচালিত গাড়ির বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করে দেখিছে, রাজধানীতে এ সংখ্যা খুবই কম। অধিকাংশ গাড়ি গ্যাস থেকে ডিজেলে ফিরে গেছে। ঢাকা শহরে মাত্র ৩১৮টি গাড়ি গ্যাসচালিত। বর্তমানে এই সংখ্যা কমও হতে পারে।

বাসে ওয়েবিল অনুযায়ী ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা এ অনিয়মগুলো দূর করার জন্য ঢাকা শহরের ১২০টি বাস কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছি। তখন ওয়েবিল না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন আবারও মালিকদের নিয়ে আবার বসতে হয়েছে। মালিকরা বলছে যে, ওয়েবিল বন্ধ করে দেওয়ার পর তাদের আয় তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। তারা যাত্রীর হিসাব পান না। তিনি বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় না হয়, সেজন্য আমরা ই-টিকিটিং সিস্টেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাউন্টারে একটি পজ মেশিন থাকবে। ওই পজ মেশিনের মাধ্যমেই যাত্রীরা টিকিট কেটে গাড়িতে উঠবেন। এজন্য আমরা একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য ঢাকার ৫টি সড়কে পাইলট প্রকল্প হিসাবে নেব। সেখানে এ সিস্টেমের টিকিট বিক্রির পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই প্রকল্প সফল হলে আশা করছি পুরো ঢাকা শহরেই গণপরিবহণে ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু হবে।

ই-টিকেটিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন  উল্লাহ নূরী বলেন, ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে একজন যাত্রীর কাছে যথেষ্ট প্রমাণ থাকবে, তিনি কত টাকা ভাড়া দিয়ে বাসে উঠলেন। সেই সঙ্গে মালিকও জানতে পারবেন যে, তার পরিবহণে কতজন যাত্রী উঠলেন ও কত টাকা ভাড়া পেলেন।

বৈঠকে বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবহণ খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত