বান্দরবানের তিন উপজেলায় গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৭ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১১
বান্দরবানের তিন উপজেলায় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফএ’র ধর্মঘটের ফলে গণপরিবহন চলাচলবন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলার স্থানীয় জনসাধারণ এবং আগত পর্যটকেরা।
কেএনএফএ’র মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ফ্লেমিং তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, অত্রাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, সব জাতি গোষ্ঠী-ধর্ম-বর্ণের কথা বিবেচনা করে এবং প্রশাসন ও বিভিন্ন দিক থেকে আশ্বস্তের কথা চিন্তা করে কেএনএফএ’র ইমার্জেন্সি এক্সিকিউটিভ মিটিংয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলমান যানবাহন ধর্মঘটটি প্রত্যাহার করা হলো। আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রশাসনিকভাবে কোনো হস্তক্ষেপ বা সুরাহা না হলে কেএনএফ আবার কঠোরভাবে যানবাহন ধর্মঘটের ডাক দিতে প্রস্তুত। মূলত শান্তি আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার স্বার্থে ধর্মঘট থেকে সরে এসেছে এই সংগঠনটি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলার বাস টার্মিনালের টিকেট কাউন্টারগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীরা টিকেট কেটে গন্তব্যে যেতে পারছেন।
এদিকে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় খুশি স্থানীয় জনসাধারণ। স্থানীয়রা জানান অস্ত্র, সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে কেএনএফএ’র উচিত শান্তি আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করা। তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ পাহাড়ি জনসাধারণ সহ বম জনগোষ্ঠীর অনেকেই অযাচিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রুমা উপজেলায় কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যদের গুলিতে ২নং রুমা সদর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড রিঝুক পাড়া এলাকায় এক যুবক আহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নাগরিক সমাজের ব্যানারে কেএনএফএ’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয় এসময় কয়েকটি ঘরবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়িতে ধর্মঘট পালন করে।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত