বাদাম চাষে ভাল ফলন ও দাম পেয়ে সন্তুষ্ট তিস্তা পাড়ের কৃষকরা

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ১৮:২৫ |  আপডেট  : ৬ মে ২০২৪, ০৫:৩২

তিস্তা নদীর ভাঙ্গাগড়া খেলার সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা চরের মানুষ গুলো জেগে উঠা চরে বাদাম চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। কাউনিয়া উপজেলায় ইতোমধ্যে বাদামের কাটামারী শুরু হয়েছে প্রায় প্রতিটি গ্রামে। চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরা বেজায় খুশি।

সরেজমিনে উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত চরগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রাম গুলো ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি গ্রামে বাদামের কাটামারী শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে বাদাম চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ৭৩০ হেক্টর, চাষ হয়েছে ৮১৫ হেক্টর জমিতে। চরাঞ্চলে বেশির ভাগ বিনা-৪, বারি ৬- ৮-৯ এর চাষ হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইয়েদুল ইসলাম জানান, তৈল জাতীয় ফসল চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু চাষিকে ৩৩ শতাংশ জমির জন্য বীজ সার ও আন্তঃ পরিচর্যায় আর্থিক সহযোগিতা ১৫০০০ টাকা করে কৃষকদের দেয়া হয়েছে। পৌরসভাসহ অন্যান্য ইউনিয়নেও দেয়া হয়েছে।

হারাগাছ চর চতুরা গ্রামের কৃষক আলিফ উদ্দিন কবিরাজ জানান, কৃষিবিভাগের সহযোগিতায় সে ১২দোন, নুর ইসলাম ১০ দোন, বায়দুল ৪ দোন, মহুবর রহমান ৩ দোন জমিতে বাদাম চাষ করেছে। আলিফ উদ্দিন কবিরাজ ও মহুবর রহমান জানান লিজ, বীজ, কর্তন শুকানোসহ একদোন জমিতে তাদেও খরচ হয়েছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাক। প্রতি দোনে ফলন হয়েছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ মণ। বর্তমান বাদাম প্রতিমন বিক্রি হয়েছে ৪৫০০ থেকে ৪৮০০ টাকা। চলতি মৌসুমে বাদাম চাষিরা অধিক লাভের আশা করছেন। বালাপাড়া ইউপি

চেয়াম্যান আনছার আলী ও মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন দুটি তিস্তা নদী বেষ্টিত। ফলে বেশিরভাগ এলাকা নদীগর্ভে। নদীতে চর জেগে উঠায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে নদী পাড়ের মানুষ গুলো ব্যাপক বাদাম চাষ করছে। চাষিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হলে তারা বাদাম চাষে আরও আগ্রহী হবে। কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে ৮৫ হেক্টর বেশী জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদামের বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে কুষকরা বেজায় খুশি। কৃষকরা বাদাম চাষে লাভবান হওয়ায় আগামীতে আরও বাদাম চাষ বৃদ্ধি পাবে। কৃষি বিভাগ বাদাম চাষিদের প্রতিবছর বিনামূল্যে বীজ ও পরামর্শে দিয়ে সহায়তা করে আসছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত