বাগেরহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি থেকে বাদ দেওয়ায় মানববন্ধন
প্রকাশ: ৩ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৫৫ | আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৮
বাগেরহাটের রামপালে বিনা নোটিশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি থেকে ৩১ হতদরিদ্রকে বাদ দেওয়া হয়েছে। স¤প্রতি উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে এদের বাদ দেওয়া হয়। ইউপি সদস্যের নিজের লোকদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই প্রকৃত দরিদ্রদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বি তরা। বাদপড়া দরিদ্রদের মধ্যে দিনমজুর, পঙ্গু, অসুস্থসহ হতদরিদ্র ব্যক্তি রয়েছেন।এদিকে কর্মসূচি বাদ পড়া ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা রবিবার (০২ অক্টোবর) সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, দিনমজুর সাইফুল ইসলাম, রিপা বিশ্বাস, হাসমত শেখ, মোঃ নাসির আকুঞ্জীসহ কর্মসূচি থেকে বাদপড়া অনেকেই।
বক্তারা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে সুলভ মূল্যের কার্ডের মাধ্যমে ডিলারের কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল ক্রয় করি। চলতি বছরের ১১ এপ্রিল সব শেষ চাল উত্তোলনের সময় ডিলার আমাদের কাছ থেকে কার্ড রেখে দেয়। আজকে (রবিবার) চাল নিতে এসে জানতে পারি তালিকা থেকে আমাদের ৩১ জনের নাম বাঁদ দেওয়া হয়েছে। কি কারণে কেন বাদ দেওয়া হল জানতে চাইলে আমাদের কিছুই জানাননি ডিলার ও খাদ্য কর্র্মতারা।
হতদরিদ্র মোঃ নাসির আকুঞ্জী বলেন, না জানিয়েই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি থেকে আমাদের বাদ দেওয়া হল। এটা গরীবের প্রতি এক ধরণের জুলুম। সরকারের কাছে আমাদের দাবি যেকোন মূল্যে আমাদের কার্ড ফিরিয়ে দিয়ে পুনরায় ১০ টাকা দরে চাল ক্রয়ের সুযোগ করে দেওয়া হোক।
হাসমত শেখ নামের এক ব্যক্তি বলেন, গৌরম্ভা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য চম্বক কুমার কুন্ডু পছন্দের লোকদের সুবিধা প্রদানের জন্য আমাদের বাদ দিয়েছেন। আবারও আমাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে চাল পাওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার রিপন শেখ বলেন, উপজেলা থেকে প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী আমরা চাল প্রদান করছি। কিন্তু কে কাকে বাদ দিয়েছে এ বিষয় আমার জানা নেই।
গৌরম্ভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজিব সরদার বলেন, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য চম্বক কুমার কুন্ডুর আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে সুবিধাভুক্তদের তালিকা তদন্ত করেছেন। তদনে্র যাদের নামে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে, তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইউপি সদস্য চম্বক কুমার কুন্ডু বলেন, সরকারি নিয়মের বাইরে যেয়ে কিছু পরিবার একাধিক কর্মসূচির সুবিধা ভোগ করছিল। কয়েকজন আবার দরিদ্র না হয়েও এই সুবিধা নিচ্ছিল। তাই এলাকার প্রকৃত দরিদ্র মানুষদের তালিকাভুক্ত করতে এক পরিবারে একাধিক কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের নিয়ম অনুযায়ী বাদ দেওয়া হয়েছে।
রামপাল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম শামীম আহসান বলেন, জন প্রতিনিধিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে যাদের সচ্ছলতা আছে এমন ৩১জনের নামের তালিকা করা হয়েছে। একাধিক কর্মসূচিতে নাম থাকলে এ্যাপসের মাধ্যমে তাদেরকে শনাক্ত করে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদি প্রকৃত হতদরিদ্র বাদ পড়ে তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত