বাগেরহাটে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কায় ভোটাররা

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৫৪ |  আপডেট  : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫

বাগেরহাটে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারন ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতার আশক্সখা বিরাজ করছে। এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছেনা। তবে তৃণমুল পর্যায়ের সাধারন ভোটাররা সতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হামলা অফিস ভাংচুর, পোষ্টার ছেড়া এমনকি সাধারন ভোটারদের হুমকি দেয়া প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। ভোটের দিন জেলা জুড়ে প্রতিটি কেন্দ্র দখল রাখতে পারবে এই ধরনের মানষিকতা নিয়ে প্রতিদ্বন্দী প্রর্থীদের মধ্যে প্রকাশ্য মহড়ায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারন ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের মনোনিত প্রার্থী নৌকা প্রতিক পেলেও আ’লীগের ভোট ব্যাংকের সাধারন ভোটাররা ঝুকছেন একই দলের সতন্ত্র প্রার্থীর দিকে। নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, প্রার্থীরা ততই শক্ত অবস্থান নিচ্ছেন। আর এই কারনেই দিনদিন বাড়ছে তুমুল উত্তেজনা ও সহিংসতা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা। 

প্রাণঘাতি করোনা ভাইসের কারনে দুই দফা পিছিয়ে (স্থগিত) থাকা বাগেরহাটের ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ২০ সেপ্টম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলার ৭৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে প্রথমধাপে জেলার ৬৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতি মধ্যেই জেলার প্রতিটি উপজেলার নির্বাচনী সরঞ্জম পৌছানোর পাশাপাশি আইনশৃংখলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিত লক্ষ্য করা গেছে। এরই মধ্যে ৬৫টি ইউনিয়নের ৫৯৯টি কেন্দ্রে সবচকটি ঝুকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। জেলা (ডিএসবি) সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। নির্বাচনে ১০০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে। এছাড়া জেলার কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতা চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ওই ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে না। 

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজি বেনজির আহমেদ বলেন, বাগেরহাট জেলায় ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন ১০০ জন, সদস্য প্রার্থী আছেন দুই হাজার ২শ ৫৫ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী রয়েছেন ৭৬৮ জন। নির্বাচনে ৫৯৯টি কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা দুই হাজার ৮শ ১৯টি। নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলায় ৩ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৩টি টহল টিম, ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলায় ২৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর ২২ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত