বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ
প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২১, ২০:০২ | আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২০
বাগেরহাটে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সমশের আলী কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তরফদারকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিতের বিচার চেয়ে রবিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সদর উপজেলার গোটাপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর আব্দুর রাজ্জাক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময়, একই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মলিক, মোঃ আব্দুর জব্বার, মোশারেফ হাওলাদার, সোলায়মান হাওলাদার, মোহাম্মাদ আলী শেখ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খান কবিরুল ইসলাম নান্নু উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার মুক্ষাইট-বাবুরহাট নামক স্থানে পশুরহাট স্থাপনের বিষয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার আমরা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাই। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বারান্দায় বসে বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সমশের আলী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তরফদার ও মোশারেফ হোসেন হালদার ওরফে কালা হালদারকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে চরম অপমান করে। আমরা চেয়ারম্যান কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানের বিচার চাই।
তারা আরও বলেন, এর আগেও অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান অপদস্থ করেছেন চেয়ারম্যান সমশের আলী। দুই বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা খান আবু হোরাইরা ও খান সোলাইমানের বাড়ি ভাংচুর করিয়েছে। মজিদ মলিককে মারধরের মামলায় চেয়ারম্যানে ভাই রেজাউল গ্রেফতারও হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হাওলাদারের বাড়িও ভাংচুর করা হয়েছে চেয়ারম্যানের নির্দেশে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়েও বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধারা চেয়ারম্যানের কাছে কোন সম্মান পান না। বরং চেয়ারম্যান একের পর এক মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিত করেণ। আমরা এই চেয়ারম্যানের বিচার চাই।
এদিকে এই সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার সাথে সাথে গোটপাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলমসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যানের পক্ষে একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান সমশের আলী, মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোসলেম উদ্দিন, আকবর আলী মলিক, আহমদ আলী, ইউছুফ আলী হাওলাদার ও গোটাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান শেখ সমশের আলী বলেন, গোটাপাড়া ইউনিয়নের মুক্ষাইট-বাবুর হাটে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ পশুর হাট বসে। এবছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে পশুরহাট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেপাড়া বাজার পশুরহাট ইজারা নেওয়া কিছু মানুষ মুক্ষাইট-বাবুর হাট স্থাপনের বিরোধিতা করেন। যৌক্তিক কারণে ওই হাট বন্ধ না করতে পেরে আামর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি কখনও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করিনি। সব সময় আমি তাদেরকে সম্মান করি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত